তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: ১৯৭১ সালে ২৭ মার্চ মৌলভীবাজারে মুক্তিযোদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গুলিতে প্রথম প্রহরে শহীদ হওয়া শাহবন্দরের কৃতি সন্তান শহীদ তারা মিয়ার স্মৃতি বিজোড়িত স্থান শাহবন্দর শ্রীরাইনগর শহীদ মীনারে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান এর মতামতের বৃত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরীনা রহমান এর উপস্থিতিতে প্রথম বারের মত সরকারি ভাবে আনুষ্ঠানিক সম্মাননা প্রদান করার সিদ্ধান্ত হয়।
এই সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে গত ২৫ শে মার্চ সকাল ৯ ঘটিকায় শাহবন্দর শ্রীরাইনগর শহীদ মিনারে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা রহমান এর নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হুসেন এর পক্ষে থেকে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা রহমান সহ ছিলেন ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কাউট দল, একটি মাদরাসার বিগ্রেড দল ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাব দলসহ তাদের শিক্ষক বৃন্দ, প্রতিষ্ঠান গুলো হল, শাহ হেলাল উচ্চ বিদ্যালয়, শাহবন্দর কে জি এন্ড গালর্স হাই স্কুল, শাহবন্দর আর রোকন হাফিজিয়া মাদরাসা, শাহবন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরদারবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বিপিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বারহাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহবন্দর যুব সংস্থা শাযুস, ৮নং কনকপুর ইউনিয়ন পরিষদ, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজ নিজ ব্যানারে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা রহমান, শাযুস প্রধান পৃষ্ঠপোষক খালেদ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা কমান্ডা আনছার আলী,সাবেক উপজেলা ডেপুটি কমান্ডা আনোয়ার খান, শাহ হেলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন খান, ৮নং কনকপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জুলহাস আহমদ লিটন, ইউ.পি সদস্য শাহানা আক্তার বেলা, সেলিম আহমদ, শাযুস সভাপতি সাংবাদিক এ এড শাহ মোহাম্মদ রাজুল আলী, শাযুস সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান ইকতিয়ার, শহীদ তারা মিয়ার নাতি ও শাযুস অর্থ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম ফরাজ, সাংবাদিক এস এম ফজলু, শাযুস সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহ পরান তালহা সহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারি শিক্ষক বৃন্দ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ প্রমুখ।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর বক্তব্যে বলেন জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যথাযোগ্য সম্মান দিতে পেরে আজ আমরা ধন্য এবং যেহেতু সরকারি ভাবে প্রথম প্রহরে শহীদ তারা মিয়ার স্মৃতি স্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়েছে তাই প্রতি বছর এই অনুষ্ঠান চলমান থাকবে।