তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে তৃতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে আশ্রয়ণের ঘর পাচ্ছে ৭৭৯টি গৃগহহীন পরিবার। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ৪৯৫টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি ঘরগুলো উদ্বোধন করেন। রাজনগর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ৪৫টি ঘর হস্তান্তর করেন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নেছার আহমদ।
এদিকে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে উপকারভোগীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সদর উপজেলার ১৮২টি ঘর হস্তান্তর করেন, সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আজমল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাবরিনা রহমান বাঁধন প্রমুখ।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে তৃতীয় পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের আওতায় দেশব্যাপী প্রায় ৩২ হাজার ৯০৪ টি পরিবারকে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হয়।
মৌলভীবাজার জেলায় তৃতীয় পর্যায়ে বরাদ্ধকৃত নির্মিতব্য ৭৭৯টি ঘরের মধ্যে ৪৯৫টি ঘরের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। উপকারভোগীদের মধ্যে সেগুলো মঙ্গলবার হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে,তৃতীয় পর্যায়ে ঘর প্রতি ব্যয় হয়েছে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫ শত টাকা। এ পর্যায়ে মৌলভীবাজার জেলায় ৭৭৯ টি পরিবারের জন্য ৭৭৯ টি ঘরে সরকারের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২০ কোটি ২১ লক্ষ ৫০ হাজার ৫ শত টাকা। তৃতীয় পর্যায়ে মৌলভীবাজার জেলায় ৭৭৯ টি বরাদ্ধকৃত ঘরের মধ্যে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় রয়েছে ৩৩২টি, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৫০টি, রাজনগর উপজেলায় ৫৯টি, কমলগঞ্জে ৫০টি, কুলাউড়ায় ১১৩টি, বড়লেখায় ৭০টি এবং জুড়ী উপজেলায় ১০৫টি। বরাদ্ধকৃত ৭৭৯ টি ঘরের মধ্যে মঙ্গলবার জেলায় ৪৯৫টি ঘর হস্তান্তর করা হয। এর মধ্যে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ১৮২টি, শ্রীমঙ্গলে ৫০টি,রাজনগরে ৪৫টি, কমলগঞ্জে ৫০টি,কুলাউড়ায় ৯৭টি,বড়লেখায় ৩৬টি এবং জুড়ী উপজেলায় ৩৫টি।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা,বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।