মোবাইল অপারেটরগুলোর ধার দেয়ার পরিমাণ এখন আর বেশি দেয়া যাবে না। এখন মোবাইল অপারেটরগুলো থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত ধার নেয়া যেত। তবে গ্রাহকদের বিড়ম্বনার বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবার এবং টেলিযোগাযোগ সেবার ওপর বিটিআরসি নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে আয়োজিত এক গণশুনানিতে এক গ্রাহকের অভিযোগের পর বিটিআরসি এ তথ্য জানায়। বুধবার (১২ জুন) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে গ্রাহকের অজান্তে টাকা কেটে নেয়া এবং শুধুমাত্র বাণিজ্যিক কারণে এসএমএস ও কল করে বিরক্ত করা, নেটওয়ার্কের নিম্নমান, দ্রুতগতির ইন্টারনেট না থাকা, গ্রামে নিম্নমানের সেবা, কলরেট ও ইন্টারনেটের দাম নিয়ে নানা অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। ১৬৫ জন গ্রাহক অভিযোগকারী হিসেবে আমন্ত্রণ পেলেই মোট ৩০ থেকে ৩২ জনকে অভিযোগ করার জন্যর ফ্লোর দেয়া হয়।
এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, অপারেটররা ২০০ টাকা পর্যন্ত ধার দিচ্ছেন। ধার নিয়ে টাকা খরচের পর যতবার ছোট অংকের অর্থ রিচার্জ করা হচ্ছে, ততবার টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। মানুষ ধার নেয় সাধারণত জরুরি প্রয়োজনে। তাই পরিমাণ ৫-১০ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। গ্রাহকের এমন অভিযোগের পর ৫ টাকার বেশি ধার না দেয়ার সিদ্ধান্ত আসে।
এ সময় বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক, মহাপরিচালক এ বি এম হুমায়ুন কবিরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।