আব্দুল আলীম, চৌগাছা-যশোরঃ যশোরের চৌগাছা থানা পুলিশের এক দারোগা আসামি ধরতে গিয়ে গাছি দায়ের কোপে রক্তাক্ত হয়েছিলেন।
ঘটনাটি ঘটেছিলো সোমবার রাতে। চৌগাছা থানার এএসআই লিপোনুর রহমান আসামি ধরতে নারায়ণপুর ইউনিয়নের মাঙ্গিরপাড়া গ্রামে যায়।
এ সময় তিনি মাঙ্গিরপাড়া গ্রামের আঃ মজিদের ছেলে ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি হাসানুর রহমান হাসানকে ধরতে অভিযান চালান, হাসান পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে বাড়িতে লুকিয়ে রাখা ধারালো গাছিদা দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। দারোগা লিপোনুর রহমানের গায়ে গাছিদা দিয়ে কোপাতে থাকে এবং ঐ সময় দারোগা রক্তাক্ত হয়।
চৌগাছা পুলিশ খবর পেয়ে আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত দারোগা লিপোনুর রহমানের গায়ে বেশ কয়েকটি সেলাই করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহত এএসআই লিপোনুর রহমান এখন আশংকামুক্ত, তবে তার গায়ে বুকে ও পিঠে বেশ কয়েকটি সেলাই করা হয়। পুলিশের উপর হামলাকারী ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি হাসানকে রাতে আটক করে চৌগাছা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় একটি মামলা হয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিফাত খান রাজীব ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে গাছিদার কোপে লিপোনুর রহমানের আহত হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এএসআই লিপোনুর রহমান বর্তমানে ভালো আছে।
আহত দারোগা লিপোনুর রহমানের নিকট আজ বুধবার বিকাল চারটায় ফোনে বর্তমানে শারীরিক অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি এখন অনেকটাই ভালো আছি। তবে শরীরের কয়েক জায়গায় সেলাই আছে। সেলায়ের সুতা কাটার অপেক্ষায় আছি। বেশি সমস্যা হয়েছে নাভির নিচে। নাভির নিচে পাঁচটি সেলাই দেওয়া আছে। তিনি আরও বলেন, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আমি বেঁচে গেছি। তা নাহলে আসামী হাসান হঠাৎ যেভাবে ধারালো গাছিদা দিয়ে আক্রমণ করে আমাদের বুঝে ওঠার আগেই এলোপাতাড়িভাবে কোপ দিয়েছিলো তাতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লাগলে পড়ে যেতো। হয়তো বা মারা যেতাম। তিনি বলেন, পুলিশের ফোর্স নিয়ে সন্ধ্যার পরে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে ধরতে গিয়েছিলাম। ছিলো অনেকটা অন্ধকার। কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না। আমারা সামনাসামনি আসামীকে ধরে ফেলবো বলে আসা করেছিলাম। কিন্তু আসামী হাসান ধারালো গাছিদা পিছনে সেরে নিয়ে আমাদের উপর আতর্কিতভাবে কোপ দেওয়া শুরু করবে তা জানতাম না। এটা বুঝতে পারলে আসামীর কোনো ক্ষমতায় থাকতো না গাছিদার কোপ মারার। যায় হোক আল্লাহ নিজে আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।