বিরোধী দলের সাংসদেরা কাশ্মীরে ঢুকতে চাইলে বাধা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমপিদের একটি দলকে কাশ্মীরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে মোদি সরকার। আজ মঙ্গলবার ইউরোপীয় এমপিদের ওই প্রতিনিধি দলটির কাশ্মীরে যাওয়ার কথা রয়েছে।ওই সফর নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, এটি সরকারি সফর নয়। বিদেশি এমপিরা প্রত্যেকেই বেসরকারিভাবে ভারত এসেছেন। এই প্রতিনিধিদলের অনেকেই আবার অতি-দক্ষিণপন্থী, শরণার্থী-বিরোধী বলে পরিচিত দলের সদস্য।বিরোধীদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্নের মুখে পড়ে বিজেপি সরকারই বাছাই করা এমপিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে কাশ্মীরে পাঠাচ্ছে। যাতে তাদের ইতিবাচক রিপোর্টে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়। প্রতিনিধিদলের সদস্য বি এন ডান বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবকিছু ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে বাস্তব পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করবো।ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং পরে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়ার পর এই প্রথম কোনও বিদেশি প্রতিনিধিদল কাশ্মীরে যাচ্ছে। রাজ্যটির সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রী- মেহবুবা মুফতি, ফারুক ও ওমর আবদুল্লাসহ প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাকেই আটক করে রাখা হয়েছে। কাশ্মীরের বাইরে থেকে কোনও রাজনীতিক সেখানে যেতে গেলেও বাধা পাচ্ছেন।এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলের গ্রহণযোগ্যতা আদায়ে মোদি সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছে বিরোধীরা। কারণ কিছুদিন আগেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের কাশ্মীরে যেতে দেয়ার দাবি তোলা হয় মার্কিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তারা জানায় দিল্লি যা বলছে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট সেটির সঙ্গে মিলছে না।
সুত্র : আর টি ভি