কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের হাইভোল্টেজ প্রথমার্ধে দুই গোল করে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালের পথে এগিয়ে রেখেছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও তরুণ স্ট্রাইকার জুলিয়ান আলভারেজ। এ দুজনে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করেন।
হাইভোল্টেজ ম্যাচের শুরুতে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথম থেকে বেশ বিবর্ণই দেখাচ্ছিল আর্জেন্টিনাকে। ম্যাচের ৩০ মিনিট অতিক্রান্ত হলেও কোনও দলেই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত সেই গোলমুখ খুললো আর্জেন্টিনা ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে। আর সেটাও হয়েছে তরুণ স্ট্রাইকার জুলিয়ান আলভারেজকে ক্রোয়াট গোলরক্ষক ডি-বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি থেকে প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি।
এই গোল করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল করার রেকর্ড গড়েন। এর আগে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটা ছিল গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পেনাল্টিতে গোল করে মেসি বাতিস্তুতার পাশে বসেন। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করে তাকে ছাড়িয়ে গেলেন। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটে দৌড়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের পাশে বসলেন।
ক্রোয়াটদের বিপক্ষে এদিন দুই পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজান আর্জেন্টাইন কোচ স্কালোনি। কিন্তু ম্যাচ যত গড়িয়েছে ততই মিডফিল্ডে আধিপত্য দেখিয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের শুরু থেকে ক্রোয়েশিয়া বল দখলে রাখলেও ম্যাচের সুযোগ তৈরি করতে পারতেছিল না ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের বাইরে থেকে এনজো ফার্নান্দেজের দূরপাল্লার শট রুখে দেন লিভাকোভিচ।
আর্জেন্টিনা স্কোয়াড
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, নাহুয়েল মলিনা, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকলাস অটামেন্ডি, নিকলাস টালিয়াফিকো, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, রদ্রিগো ডি পল, এনজো ফার্নান্দো, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, লিওনেল মেসি ও জুলিয়ান আলভারেজ।
ক্রোয়েশিয়া স্কোয়াড
লিভাকোভিচ (গোলরক্ষক), জুরানকভিচ, লভরেন, জিভারডিওল, সোসা, লুকা মদরিচ, ব্রোজোভিচ, কোভাসিচ, পেসেলিচ, ক্রামারিচ ও পেরিসিচ।