আলামিন আলী:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের একবরপুর জাব্বার বিশ্বাস টোলা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে এক যুবককে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে । এঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ২জনকে গ্রেফতার করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, একই এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে সুজন (৩৭) ও পলাশ এর স্ত্রী ডালিয়া বেগম(৩০)।
নিহত ব্যক্তি শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের একবরপুর গ্রামে আব্দুস সালামের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২৪)। রাজ্জাক এমন এক মেধাবী ছাত্র যা ৫ম ও ৮ম শ্রেণীতে বৃত্তি এবং এসএসসি ও এইচএসসিতে এ+ প্লাস প্রাপ্ত। এবং রাজশাহী কলেজে জীববিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথম বিভাগ ও মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যাশী।
শুক্রবার দুপুরে ওই ঘটনা কে কেন্দ্র করে আব্দুর রাজ্জাককে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৪টার দিকে রাজ্জাকের মৃত্যু হয়। ওই রাতে নিহত রাজ্জাকের চাচা সেতাউর রহমান বাদি হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখ্য শিবগঞ্জ থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সকালে বাড়ির সামনে রাস্তার উপরে বৃষ্টির পানি জমে থাকলে তা নিষ্কাসন করতে যায় নিহত আব্দুর রাজ্জাক ও তাঁর পিতা আব্দুস সালাম। কিন্তু মফিজ উদ্দিনের বাড়ির সামন দিয়ে পানি নিষ্কাসন করতে বাধা দেয় মফিজ উদ্দিনের ছেলে ও ছেলে বউরা। পরে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হলে মফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. বকুল (৫০), মো. মামুন (৪৮), মো. পলাশ (৩৫), মো. সুজন (৩৭), মো. বকুল এর স্ত্রী মোসা. রোজিনা বেগম(৪৫), মামুনের স্ত্রী মোসা. তানজু বেগম(৪২), ও পলাশের স্ত্রী মোসা. ডালিয়া বেগম(৩০)। কিন্তু কথা কাটাকাটির পর নিহত রাজ্জাক ও তাঁর পিতা সেখান থেকে চলে আসলে আসামীরা পরিকল্পিত ভাবে তাদের পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে বিভিন্ন ভাবে এলোপাতাড়ী পিটিয়ে আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৪টার দিতে রাজ্জাকের মৃত্যু হয়।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামসুল আলম শাহ ঘটনাটির সতত্যা স্বাকীর করেন।