বেশ কিছুদিন ধরেই শোসাল মিডিয়াতে জনৈক দেলোয়ার নিজেকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর দাবী করছে এবং সরকার পতনের আহবান জানাচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারনা চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফেসবুকে দেওয়া দেলোয়ারের প্রতিটি এপিসডে সরকারকে উৎখাতের হুমকি দিচ্ছে। প্রথম প্রথম শেফুদার মতই কোন উম্মাদ ভেবেছিলাম। কিন্তু আজ দেলোয়ার দাবী করেছে, তার নির্দেশ পেলেই সেনাবাহিনী সরকারকে হটিয়ে দায়ীত্ব গ্রহন করবে। জনগনকে উষ্কে দেওয়ার জন্য এতদিন দেলোয়ারের মূখে যা শুনেছি তা অনেকের মূখেই জেনেছি। কিন্তু দেশের সেনাবাহিনী এই কথিত মেজর দেলোয়ারের নির্দেশ পেলেই সরকার উল্টে দিবে বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়ার মত নয়। আরেকটি ১৫ ই আগষ্টের হুমকি ধমকি অনেক নেতার মূখেই উচ্চারিত হয়েছে। এবার মেজর দেলোয়ার বিদেশে বসে যে বক্তব্যটি প্রচার করেছে তা আমলে নিয়ে গোয়েন্দা বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া উচিৎ।
রাজনীতি করা আর দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা এক কথা নয়। গনতান্ত্রীক দেশে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের ইশারাটি শুভ নয়। পরিনামটিও সকলের জানা। মেজর সিনহা হত্যার পর সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে জড়ানোর চেষ্টা করেছে অনেকে। কিন্তু আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী সে পথে যায়নি। হঠাৎ মেজর দেলোয়ারের বক্তব্যটি সেনাবাহিনী এবং দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। গনমাধ্যমে কে কাকে বিয়ে করলো তা গুরত্ব দিয়ে প্রকাশ পায় অথচ, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথাটি জেনেও কেউ প্রকাশ করেনা। এটা দুঃখ জনক। দেশপ্রেমিক নাগরিকের উচিৎ এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্থ্য করতে কোন কোন রাষ্ট্র ইন্দন যোগাচ্ছে তা’ও এখন তদন্ত করা জরুরী। মেজর দেলোয়ার যে বক্তব্যটি দিয়েছে তার সূত্র খুজে বেড় করা দরকার।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
১৫ অক্টোবর ২০২০।