ভুয়া দর হাঁকানোর কারণে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ব্যাটের নিলাম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে ব্যাট দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন, সেটা নিলামে তুলেছেন মুশফিকুর রহিম।
করোনাভাইরাসের কারণে তৈরি হওয়া অচলাবস্থায় সংকটে পড়া অসহায় মানুষদের সাহায্য করার জন্য অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিক তার ঐতিহাসিক ব্যাট নিলামে তোলার ঘোষণা করেছিলেন।
মঙ্গলবার নিলামে ব্যাটের দর ৪০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় নিলাম স্থগিত করা হয়েছে। তবে আয়োজকরা – নিবকো এবং পিকাবু ডটকম – দাবি করছে যে নিলামে দর হাঁকানো বেশিরভাগ ক্রেতা অপ্রত্যাশিতভাবে ভুয়া দর হাঁকিয়েছেন।
পিকাবু ডটকমের সিইও মরিন তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা নিলামে অংশগ্রহণকারী আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টোকেন মানি বা সুরক্ষা জমা কথা বলিনি। আমরা নিলামকে যতটা সম্ভব উন্মুক্ত করতে চেয়েছিলাম। তবে অনেক ভুয়া দরদাতার কারণে আমাদের এ নিলাম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। আশা করছি ভুয়া দরদাতাদের বাদ দেয়ার অপশনসহ শিগগিরই আমরা আবার নিলামের ব্যবস্থা করব।’
মুশফিকের পরপরই সাকিব আল হাসানও তার ব্যাট নিলামে তুলেছিলেন এবং তার ব্যাটটি ২০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিলাম থেকে সংগৃহীত এ তহবিলের সব টাকা সারা দেশের অসহায় মানুষদের সহায়তায় ব্যয় করা হবে।
মুশফিক ও সাকিবের মতো তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার, আকবর আলীও এ মহামারি চলাকালীন সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সহায়তায় অর্থ সংগ্রহের জন্য তাদের খেলার ঐতিহাসিক বিভিন্ন ক্রিকেটীয় সামগ্রী নিলামে তুলেলেন। এর বাইরে, দেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার তাদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও অসহায়দের সহায়তা করে চলেছেন।