মোঃ খোরশেদ আলম, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ কাজী আবুল খায়ের চেয়ারম্যান ১৯৭৬ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী স্বনামধন্য বিখ্যাত কাজী পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।তার পিতার নাম কাজী আবদুল মালেক এবং মাতার নাম মোসাম্মাৎ এলাচি বেগম।তার বাবা একজন কোম্পানিগঞ্জ বাজারের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ছিলেন।কাজী আবুল খায়ের চেয়ারম্যান তার পাঁচ ভাই দুই বোনের মধ্যে তার বাবা মার পঞ্চম সন্তান।
কাজী আবুল খায়ের চেয়ারম্যান বাল্যকাল থেকেই খুব শান্ত , ভদ্র ও নম্রস্বভাবের ছিলেন। পড়ালেখায় খুব মনোযোগী ও মেধাবী ছিলেন এবং পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাদুলায়ও পারদর্শী ছিলেন। তিনি খুব ভাল ক্রিকেট খেলতেন।কাজী আবুল খায়ের চেয়ারম্যান ১৯৯১ সালে কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচচ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন।কাজী আবুল খায়ের চেয়ারম্যান এসএসসি পাস করেই ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে মনোযোগী হয়ে পরেন।তিনি ১৯৯৩ সালে এইচএসসি পাস করেন এবং ১৯৯৩ সালে কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রি কলেজে ডিগ্রিতে ভর্তি হন এবং ১৯৯৪ সালে কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রি কলেজের ছাএলীগের প্যানাল থেকে ভিপি নির্বাচন করেন এবং বিশাল ব্যবধানে ভিপি নির্বাচিত হন।
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে আন্দোলন করতে গিয়ে, আওয়ামী পরিবারের যেসকল নেতা কর্মী নির্যাতনের এবং মামলা- হামলার শিকার হয়েছিলেন ও জেল হাজতেও যেতে হয়েছিল, মা বাবার মৃত্যুর কথা শুনেও জানাজায় আসতে পারে নাই এমনকি মাতৃভূমি ত্যাগ করতেও হয়েছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন মুরাদনগর তথা কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী কাজী আবুল খায়ের চেয়ারম্যান। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির আদর্শকে বুকে লালন করে ছাত্র রাজনীতি করছেন ছাত্র জীবন থেকে,মুরাদনগর উপজেলা ও কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্র লীগের সংগ্রামী তুখুর ছাত্র নেতা ছিলেন।
পরবর্তীতে তিনি কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রি কলেজের আদর্শবান ভিপি হন। মুরাদনগর উপজেলা ছাত্র এলীগের সাবেক সফল সাধারন সম্পাদক, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমান মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের দক্ষ ও কর্মীবান্দব সফল যুগ্না সাধারন সম্পাদক ও ১৪ নং নবীপুর( পূর্ব) ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবারের সফল চেয়ারম্যান, তরুণ প্রজন্মের অংকার, হাজারো নেতা তৈরির কারিগর, মুজিব আদর্শের সৈনিক, ড. শেখ হাসিনার রাজপথের লড়াকু সৈনিক, আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন(এফসিএ) এমপি মহোদয়ের আস্তাভাজন কাজী আবুল খায়ের চেয়ারম্যান।অল্প কিছু দিনের মধ্যে হতে পারে কুমিল্লা উত্তর জেলার মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল।
উপজেলা আওয়ামীলীগের এই কাউন্সিল নিয়ে সবার মধ্যে উত্তেজনার হাওয়া বইতে শুরু করেছে। কে হতে যাচেছ মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সাংগাঠনিক সম্পাদক।
তৃনমূল নেতাকর্মীদের থেকে কিছু সম্ভাব্য সভাপতি,সাধারন সম্পাদক ও সাংগাঠনিক সম্পাদক প্রার্থীর নাম শোনা যাচেছ। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও বিভিন্নভাবে জানান দিচ্ছেন প্রার্থিতা। তাই কাউন্সিল কে ঘিরে তৃনমূল নেতৃবৃন্দদের মাঝেও কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। সম্ভাব্য সভাপতি হলেন-সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব হারুন আল রশীদ।উপজেলায় সম্ভাব্য সাধারন সম্পাদক প্রার্থীদের মধ্যে আলোচিত মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন ( এফসিএ) মহোদয়ের বিশ্বস্ত কাজী আবুল খায়ের চেয়ারম্যান।
কাজী আবুল খায়ের চেয়ারম্যান মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদ পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করেন মুরাদনগর উপজেলার তৃনমূল নেতৃবৃন্দ। ইতোমধ্যে তৃনমূল নেতৃবৃন্দ থেকে মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের অনেক সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচেছ এবংতারা তাদের সমর্থক দ্বারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান দিচ্ছেন নিজেদের প্রার্থীতা। মুরাদনগর উপজেলায় এখন পর্যন্ত যারা আলোচনায় রয়েছেন তাদের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সাংগাঠনিকভাবে এগিয়ে রয়েছেন কাজী আবুল খায়ের চেয়ারম্যান।