মোঃ খোরশেদ আলম, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর উপজেলার ১৩নং সদর ইউনিয়ন এবং ১৫নং নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে; ইতোমধ্যেই পানি উঠেছে গোমতীর চরের বেশ কিছু বাড়িতে। সোমবার বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান। ২৫ জুন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যেই গোমতীর চর ডুবে গেছে। গোমতীর চরে কৃষকরা সারা বছরই সবজি চাষ করে থাকেন। বর্তমানে চর ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।চর ডুবতে থাকায় অসময় ফসল তুলে নিচ্ছেন চাষিরা।
১৫ নং নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী ভিপি জাকির বলেন আমার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চৌধুরী কান্দি, নয়া কান্দি। চর এলাকার প্রায় ১৩০টি পরিবার পানিবন্দি। আমি এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে পরিদর্শন করি এবং তাদের খোঁজ খবর নেই।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুরের সোনাইমুড়ি এলাকায় গোমতীর উৎপত্তি। এর প্রায় ৯০ কিলোমিটার ভাটিতে কুমিল্লা। নদীটি কুমিল্লা সদর, বুড়িচং, দেবিদ্বার, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দি উপজেলা হয়ে মিলিত হয়েছে মেঘনায়। সম্প্রতি ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়। এতে সেসব এলাকাসহ তার উজানে থাকা বাংলাদেশের সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে।