মোঃ খোরশেদ আলম, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ কী নিষ্ঠুর নির্মমতা! এই মায়ার দুনিয়ার কেউ যে কারো না করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ (জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট) নিয়ে কুমিল্লার মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের বাচ্চু মিয়ার মৃত্যুতে তার বীভৎস চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। মৃত্যুর পর কাছে আসেননি কোন স্বজন। মৃত্যুর পর পায়নি স্থানীয় মসজিদের খাটিয়া, কেউ দেয়নি কবর খোঁড়ার কোদালও।
এই খবর শুনতে পান গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংসদ সদস্য কুমিল্লা -৩ আসন মুরাদনগরের আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ। পরে মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রুহুল আমিন কে নির্দেশ দেন দাফনের ব্যবস্হা করার জন্য পরে রুহুল আমিন তার করোনা রোগে দাফন টিমের ১১ সদস্য নিয়ে দাফন কাফন ও কবরস্থ করেন।
যে টাকা পয়সা রোজগার করে সারা জীবনের উপার্জন দিয়ে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। অথচ মহান আল্লাহ তার এমন একটি মৃত্যু দিয়েছেন শেষ বিদায়ে কোন স্বজন তার পাশে নেই। এর চেয়ে হৃদয় বিদারক আর কি হতে পারে? আসুন সবাই মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি কোন শত্রুকেও যেন তিনি এমন মৃত্যু না দেন। এই মৃত্যু থেকে পৃথিবীর সব মানুষ শিক্ষা নেয়া উচিৎ। আসলে কার জন্য এই উপার্জন আর অর্থবিত্ত রেখে যাওয়া? করোনার এই মহামারিতে মানবতাও যেন আজ থমকে গেছে!