মোঃ খোরশেদ আলম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এ বছর আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে উপজেলার দড়িকান্দি,দুলারামপুর,সাতমোড়া,শুশুন্ডা,বাখরাবাদ, আলীরচর এবং মরিচাকান্দার কিছু অংশ সহ আখ চাষ হয়েছে। তবে উপজেলার দুলারামপুর বেশি চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আখের খুচরা ও পাইকারি বিক্রি। আগামি এক মাসের মধ্যে অধিকাংশ জমির আখ বিক্রি হয়ে যাবে বলে জানিয়ছেন আখ চাষীরা।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবছর আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। আখ চাষিরা জমিতে কাজ করছেন।কেউ আখ তুলছেন, কেউ আঁটি বাঁধছেন। আবার অন্য শ্রমিক এসব আখ সড়কে নিয়ে স্তূপ করে রাখছেন। আখের মধ্যে অনেক জাত রয়েছে এগুলোর মধ্যে আখ ৩২, আখ ২০৮ এবং আখ রং বিলাসী হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মানের আখ।
মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের দুলারামপুর এলাকার হানিফ মিয়া জানান, তিনি এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করেছেন। খরচ বাদ দিয়ে তার কমপক্ষে ৭০ হাজার টাকার মতো লাভ হবে।এ ছাড়াও আবদুল মালেক ৭০ শতাংশ, আকতার মিয়া ৫০ শতাংশ, আবুল হোসেন ৪৫ শতাংশ,রমজা ৩৬ শতাংশ,মাফিয়া ৩০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেন। তারা বলেন প্রতি কানিতে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয় এবং ফলন ভাল হলে বিক্রি হয় ৮০/৯০ হাজার টাকা।
দুলারামপুর গ্রামের কৃষক আকতার জানান, ‘তারা বহু বছর ধরে আখের চাষ করে আসছেন, সেচ সুবিধা ভালো হওয়ার কারণে তাদের আখের ফলন খুবই ভালো হয়েছে।এবং আখ রোপনের প্রথম দিকে ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজী চাষ করে এতে আরো ভালো লাভ পাওয়া যায়।
উপজেলার আখ চাষীরা বলেন, ‘আমরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোন পরামর্শ ও সহযোগিতা পাই না।সরকারের কাছ থেকে যদি আমরা কিছু সহায়তা এবং কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরামর্শ পাইতাম তাহলে আখের আরও ফলন বেশী হবে এবং আর্থিক ভাবে ও লাভবান হবো।’