সৌভাগ্যের অন্বেষণে পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে ২০১৯ সালে জামাল মিয়া পাড়ি জমিয়ে ছিলেন সৌদি আরবে, দেড় বছর কোম্পানির কাজ করে কোন রকম সংসার চালিয়ে আসছিলেন তিনি। কোম্পানির দায়িত্ব হীনতার কারণে আকামা না পাওয়ায় কোম্পানি থেকে ভেগে গিয়ে বাহিরে কাজ করেছে গত কয়েক বছর। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে গত কয়েক মাস যাবৎ অসুস্থ হয়ে কিং সৌদি মেডিকেল সিটিতে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ২ অক্টোবর ২০২৪ মারা যান তিনি।
মরহুম জামাল মিয়া (৪৪) কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের মাহুতিকান্দা গ্রামের মৃত গনি মিয়ার ছেলে। ৩ ভাই ৩ বোন এর মধ্যে জামাল মিয়া ছিল ৫ নাম্বার, এক মেয়ে এক জান্নাতুল ফেরদৌসী (১৬) ও দুই ছেলে সালাউদ্দিন আহমেদ ( ১০) সাব্বির (৭)।
স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩৮)বলেন আমার কোনো টাকা নেই যে, টাকা খরচ করে আমার স্বামীর লাশটি আমরা দেশে আনতে পারবো, সরকারের নিকটে আবেদন জানাই আমার স্বামীর লাশটি যেন আমাদের কে আনার ব্যবস্থা করে দেন।
নিহতের মা মোমেনা খাতুন (৭৬) বলেন, আমি আমার ছেলের লাশটা একটু ছুয়ে দেখতে চাই, কবরের পাশে বসে একটু আমার ছেলের জন্য দোয়া করতে চাই, সরকারের নিকটে এটাই আমার চাওয়া। তার লাশটি এখন হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। নিহতের অবুঝ সন্তানরা ও তাদের বাবার লাশটি শেষ বারের মতো দেখতে চান।
নিহতের বড় ভাই আবুল হোসেন (৫৫) বলেন, আমাদের সংসারের হাল ধরতেই আমার ছোট ভাই সৌদি আরবে যায়, তার দেনা এখনো পরিশোধ করতে পারিনাই, আমরা গরীব, অসহায় অবস্থায় তার দেনা ই কি ভাবে দিবো এবং তার সংসার ই কি ভাবে চলবে? এজন্য এলাকাবাসীসহ প্রবাসীদের সহযোগিতা চান তিনি।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৩:৫৫ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি