আজিজুর রহমান প্রিন্স, টরন্টো, কানাডাঃ চাঞ্চলকর মুনিয়া হত্যার রহস্য ঢাকা পরে গেছে। গনমাধ্যমেও এখন আর লেখালেখি খুব একটা চোখে পরছেনা। সব কিছুই স্বাভাবিক হয়ে গেছে মনে হয়। আর ক’দিন পর কেউ মনেও রাখবেনা। এক তরুনী ভয়ে সঙ্কায় আত্নহত্যা করতে বাধ্য হল। কত রকম ক্লু উদঘাটন করলো পুলিশ কিন্তু, কেউ গ্রেপ্তার হলোনা। যাদের সন্দেহ করা হলো তারা বিশেষ বিমান ভাড়া করে উড়ে গেল দুবাই শহরে। কারন তারা বিত্তবান। বড় লোকদের বিনোদনে কারো জীবন যাওয়া কোন বিষয়ইনা। এখন সংবাদের শিরোনাম হয় চিড়িয়া খানায় বাঘিনি বাচ্চা প্রসব করেছে।
মুনিয়ার নিজ কন্ঠে বলে যাওয়া অডিও টেপ কিংবা জব্দকরা আলামত কোনকিছুই এখন আর খবরে নেই। মানূষ আর মানবিকতা কি ভাষায় সঙায়ীত করা যায়? একটি খারাপ উদাহরন সৃষ্টি হলো মুনিয়া হত্যার রহস্য।
আমেরিকার বিখ্যাত খেলোয়ার ও জে সিমসন স্ত্রী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। একটি হ্যন্ড গ্লভ প্রমানে ব্যর্থ হওয়ায় সিমসন মুক্তি পেলেও অন্য মামলায় অর্জিত সব অর্থ খুইয়েছেন। এখন তিনি নিস্ব প্রায়। বিখ্যাত অভিনেতা বিল কসবিও বুড়ু বয়সে ধর্ষন মামলা এড়াতে পারেননি। প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টন মনিকা লুইন্সকি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ইম্পিজড হয়েছিলেন প্রায়। জাতীর কাছে জন্য ক্ষমা চেয়ে মেয়াদ শেষ করতে পেরেছেন। আমাদের দেশে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমন কি ক্ষমতা যে হত্যা মামলার অভিযুক্ত হয়েও নিরাপদে লোক চক্ষুর অন্তরালে চলে গেলেন? মুনিয়া হত্যা রহস্য উদঘাটন না হলে বিচার ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থাহীনতা বাড়বে বৈকি। একটি মেয়ে সব বলে কয়ে আত্নহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হল অথচ বিচার হবেনা বিষয়টি মানা যায়না। অভিযুক্ত আসামীই হত্যা করেছে এমন কোন প্রমান পুলিশ আবিস্কার করতে পারেনি। কিন্তু রহস্যটি বেড় না হলে পুলিশের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করবে স্বাভাবিক। তাই মুনিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটন করে জনসমুক্ষে প্রচার করার অনুরোধ জানাচ্ছি।