চলতি বছরই উদযাপিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। তাই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুরু হলো মুজিববর্ষ। জীবনভর নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়ে যে আদর্শ নিয়ে তিনি গড়তে চেয়েছিলেন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও বৈষম্যহীন ‘সোনার বাংলাদেশ’। জন্মশতবার্ষিকীতে এসে তার সে আদর্শের কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে? ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মতে, পুরোটা না হলেও দিক হারায়নি বাংলাদেশ। তবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে প্রয়োজন, তার বইয়ের বেশি বেশি চর্চা।
যার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আজকের লাল-সবুজের বাংলাদেশ তিনিই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাইতো শেখ মুজিবের সংগ্রামী জীবনের অর্থ একটু একটু পরিপূর্ণ হয়ে ওঠা স্বাধীন বাংলাদেশের গল্প। সেই যে সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দিলেন বঙ্গবন্ধু, এরপর পুরোটা জীবনই কেটেছে দুঃখী-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে। দেশ স্বাধীনের পরও থেমে থাকেননি টুঙ্গিপাড়ার খোকা। সরকার গঠন করে স্বাধীন দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন, সত্যিকারের সোনার বাংলা গঠনে।
কিন্তু মহান এ নেতার জন্মশতবার্ষিকীর দোরগোড়ায় এসে এখনো প্রশ্ন কতটুকু প্রতিফলন ঘটেছে তার আদর্শের? যে বৈষম্যহীন সমাজের জন্য লড়ে গেছেন সারা জীবনে, কতখানিই বা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা?ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মতে আকাঙ্ক্ষার জায়গায় পুরোপুরি পৌঁছাতে না পারলেও এখনো আশা জাগিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।তবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সঠিক বাস্তবায়নে কেবল মুখেই নয়, তার লেখা বই চর্চাও জরুরি বলে মনে করেন তিনি। আগামী প্রজন্মের কাছে জাতির পিতার আদর্শ ও সঠিক ইতিহাস তুলে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে সত্যিকারের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে পরামর্শও ছিল, এই ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিকের।