বি এন পি মহাসচিব মির্যা ফখরুল ইসলাম দাবী করেছেন ৭৫ এর ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। বক্তব্যটি পড়ে অবাক হইনি; বরং, নিশ্চিত হয়েছি ফখরুলদের মনের কথাটি জেনে। তাদের এই মুখোশটি ঢেকে রেখেছে রাজনীতির নামে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিতর্কিত করাই ছিল বি এন পি’র রাজনীতি। স্বাধীনতাকে, বঙ্গবন্ধুকে আর মুক্তিযুদ্ধকে ভুল প্রমাণ করতেই প্রভু রাষ্ট্রের মদদে আর সহায়তায় জন্ম হয়েছিল বি এন পি’র। বাংলাদেশের ইতিহাস বদলে দিতে সংগঠিত হয়েছিল বি এন পি নামের দলটি। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে, জেলখানায় চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি। ৭ই নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনা নায়কদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করেছে। তারপর ক্ষমতায় বসে মির্যা ফখরুলদের নেতা জেঃ জিয়া এবং বি এন পি বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছিল। স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর, আল- শামসের সদস্যরা মুক্ত হয়ে রাজনীতি শুরু করেছিল। তারা এই স্বাধীনতার জন্যই অপেক্ষা করছিল তিন বছর। জেঃ জিয়া তাদের সেই স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। দেশের শত্রুরা স্বাধীনতা ভোগ করেছে জিয়ার আমলে। সেই স্বাধীনতা ফিরে পেতেই এখন রাজনীতি করে ফখরুলরা। সত্য কথাটি মুখ ফসকে বেড়িয়ে গেছে। এটাই বি এন পি এবং তাদের রাজনীতি। রাজনীতি এখন স্বাধীনতার। বি এন পি তাদের স্বাধীনতা চায় আর দেশের মানুষ ‘৭১-এ অর্জিত স্বাধীনতা চায়। ‘৭১ এর স্বাধীনতায় রাজাকার, আলবদর, আল-শামসের জায়গা ছিলনা। ২১ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে রাজাকার দের সাধের স্বাধীনতার সুখ ভাঙ্গতে। এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র চলছে রাজাকারদের স্বাধীনতা ফিরে পেতে। জনগণের ভোটে নয়, হত্যা করে রাজাকাররা ক্ষমতায় যেতে চায় আবার। বাংলাদেশ আর রাজাকারদের দখলে যাবেনা।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
৯ নিভেম্বর ২০২০।