একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচিতদের ৬ জনের মধ্যে ৪ জনই সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে শপথ নিয়েছেন। এর আগে, আরো একজন শপথ নিয়েছেন। বাকি ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
স্পিকারের কাছে পাঠানো চিঠিতে মির্জা ফখরুল শারীরিক অসুস্থার কারণে শপথ গ্রহণে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানান।
সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি থেকে নির্বাচিত চার নেতা এমপি হিসেবে শপথ নেন সোমবার বিকেলে। এর আগে শপথ নিয়েছিলেন একজন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আট জন নির্বাচিত হন। এর মধ্যে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত দুই জন আগেই শপথ নেন।
আইনত ২৯ এপ্রিল রাত ১২টার মধ্যে মধ্যে শপথ না নিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আসন শূন্য হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। এ অবস্থায় তিনি শপথ নেওয়ার জন্য সময় চেয়ে আবেদন জানালেন।
সংবিধান অনুযায়ী, কোনো নির্বাচিত ব্যক্তি যদি যৌক্তিক কারণে পরে শপথ গ্রহণের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেন, তাহলে সেক্ষেত্রে স্পিকারের সেটি বিবেচনার এখতিয়ার রয়েছে। অবশ্য এক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ গ্রহণ করতে না পারার কিংবা না নেওয়ার ‘যথার্থ কারণ’ দেখানোর কথাও সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে। এছাড়াও সংবিধানে বলা আছে, স্পিকারের কাছে সময় বৃদ্ধির এই আবেদনও করতে হবে নির্ধারিত ৯০ দিন অতিবাহিত হওয়ার আগে।