বিপিএলের চলমান আসরে এতদিন সফলতম দলটি ছিল খুলনা টাইগার্স। টানা চার ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে তারা। শনিবার অবশ্য শ্বাসরূদ্ধকর এক ম্যাচে খুলনাকে মৌসুমের প্রথম হারের স্বাদ দিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ১৫৬ রানের লক্ষ্য ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে ছুঁয়েছে তামিম ইকবালের দল। লিগে এটি বরিশালের তৃতীয় জয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আপাতদৃষ্টিতে খুলনার দিকেই ঝুঁকেছিল ম্যাচ। শেষ ৪ ওভারে বরিশালের ২৪ বলে প্রয়োজন ছিল ৫৪ রান। সেখান থেকে ধীরে ধীরে ম্যাচটা দৃষ্টি সীমায় নিয়ে আসে মেহেদী হাসান মিরাজ ও শোয়েব মালিকের ঝড়ো ব্যাটিং।
১৭তম ওভারে ছয় মেরে পরিস্থিতি ভারসাম্যে রাখার চেষ্টা করেন মিরাজ। ১৮তম ওভারেও একটি বাউন্ডারি মারলে সমীকরণ দাঁড়ায় ১২ বলে ৩৭। তার পর শেষ দুই ওভারে মিরাজ-মালিকের ঝড়ো ব্যাটিং জয় সুনিশ্চিত করেছে। ১৯তম ওভারে একটি করে ছয় মারেন মিরাজ-মালিক। তাতে ৬ বলে দরকার পরে আর ১৮ রান।
লঙ্কান তারকা শানাকা শেষ ওভারে রান আটকানোর মতো কোনও সুযোগই পাননি। প্রথম বলেই ছক্কা মেরে জয়ের পথটা উন্মুক্ত করেছেন মিরাজ। অফস্পিনিং অলরাউন্ডার দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিলে পরের দুই বলে চার আর ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন শোয়েব মালিক। ফিক্সিং বিতর্কে নাম জড়িয়ে বিপিএল থেকে চলে যাওয়ার পর এটা ছিল পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের প্রথম ম্যাচ।
শোয়েব মালিক ২৫ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। মিরাজ ১৫ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩৩ বলে যোগ হয়েছে ৫৫ রান।
ম্যাচ জেতানো এই জুটির আগে উল্লেখযোগ্য ইনিংসে দলকে টেনে নেওয়ার কাজটা করেছেন তামিম (২০), সৌম্য সরকার (২৬) ও মুশফিকুর রহিম (২৭)। যদিও সেগুলো টি-টোয়েন্টির চাহিদা মেটাতে পারেনি।
শুরুতে টস হেরে ব্যাট করেছিল খুলনা টাইগার্স। ৮ উইকেটে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে তারা। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের ৩৩ রান ছাড়া টপ অর্ডার থেকে সেরকম কোনও সহায়তা পায়নি খুলনা। টি-টোয়েন্টির চাহিদা মেটানো ব্যাটিংটা মিলেছে লোয়ার অর্ডারে দুই পাকিস্তানির ব্যাটে।
মোহাম্মন নওয়াজ ২৩ বলে ৪ ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ফাহিম আশরাফ ১৩ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় উপহার দেন ৩২ রানের ক্যামিও একটি ইনিংস। তাতেই ৮ উইকেটে হারানো দলটির স্কোর ১৫৫ রান পর্যন্ত গেছে।
বরিশালের হয়ে ৭ রানে দুটি উইকেট নেন তাইজুল। ২৪ রানে দুটি নেন শোয়েব মালিকও। ব্যাট-বলে অবদান রাখায় ম্যাচসেরাও ছিলেন তিনি। একটি করে নিয়েছেন মোহাম্মদ ইমরান ও আকিফ জাভেদ।
খুলনার হয়ে ১৮ রানে তিনটি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন ডানহাতি পাকিস্তানি পেসার ফাহিম আশরাফ।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম