মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির আরও ১৩ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে গত ৩ দিনে মোট ২৯ জন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিজিবির সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নতুন করে ১২ জন পালিয়ে আসে। এর মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুইজন এবং জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন প্রবেশ করে। এই ১২ জনের মধ্যে বিজিপি ও সেনা সদস্য রয়েছে। তবে কোনো বাহিনীর কতজন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। তাদেরকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরে মঙ্গলবার দুপুরে বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে বিজিপির আরও এক সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এ নিয়ে গত ৩ দিনে নতুন করে ২৯ জন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। যেখানে সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে ২ সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রোববার (১৪ এপ্রিল) টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আরও ১৪ জন সদস্য। নতুন করে আসা ২৯ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়রত রয়েছে। এ নিয়ে মোট ২০৯ জন ওখানে রয়েছেন। আগে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩ জন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।
উল্লেখ্য, এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল আরও ৩৩০ জন। তাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:৩১ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি