মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে ভারী বর্ষণ থেকে সৃষ্ট বন্যায় কারণে ১০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া বন্যায় কারণে সেখানে বিদ্যুৎ ও ফোন লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে করে সমগ্র অঞ্চলে দুর্ভোগে পড়েছেন বহু মানুষ। রাজ্যের আবহাওয়া অফিস আরো ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা দিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং বাসিন্দারা মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, উত্তর কাচিন রাজ্যের শহর মাইটকিনাতে কয়েকদিনের ভারী বর্ষনের পর আয়ারওয়াদি নদীর পানি ‘বিপদ সীমার’ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে অনেক ভবন প্লাবিত হতে এবং লোকজনকে তাদের জিনিসপত্র মাথায় করে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
মাইটকিনারের একজন বাসিন্দা এএফপি’কে বলেছেন, ‘সেখানে বন্যার পানি খুব দ্রুত বাড়ছে। অনেক বাসিন্দা এখনো তাদের বাড়িতে আটকা অবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বন্যার কারণে রোববার থেকে বিদ্যুত ও ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেছে। শহরে জ্বালানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং উদ্ধারকারীরা মোটর বোটে মানুষের কাছে পৌঁছাতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।’
মাইটকিনারের আরেক বাসিন্দা বলেন, তার বাড়ির নিচতলা পানিতে ডুবে গেছে এবং উদ্ধারকারী দল তাদের কাছে না পৌঁছানো পর্যন্ত তিনি প্রতিবেশীদের সাথে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বন্যার পানি কিছুটা কমতে দেখা গেছে। কিন্তু এখনো বৃষ্টি হচ্ছে।
আজ ২০শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বর্ষাকাল | ২৮শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি | রাত ৮:৫০ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি