বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়াও আরও দুটি দল সরকার পরিচালনা করেছে। স্বাধীনতার পর এই দুই দলই বেশী সময় সরকারে ছিল। ক্ষমতায় গিয়ে তারা সবচেয়ে বড় ক্ষতিটি করেছে স্বাধীনতার শত্রুদেরকে রাজনীতিতে এনে। কুখ্যাত রাজাকার আল-বদর দের ক্ষমতায় বসিয়ে। অর্থনৈতিক সুবিধাও দিয়েছে এই অপশক্তিকে। তারাই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এখন। দেশের অর্থনীতিও নিয়ন্ত্রন করে স্বাধীনতার শত্রুরা। নিজেদের স্বার্থে যারা অপশক্তিকে রাজনীতিতে এনেছে এখন তাদের দল পরিচালিত হয় এই শত্রু শক্তির টাকায়। দেশের এই ক্ষতিটি করা ছাড়া তাদের উল্লেখ্যোগ্য কোন অর্জন নেই। নিয়মাতান্ত্রিক রাজনীতিতে তাদের আগ্রহ নেই। অবৈধ পথে জোড় করে ক্ষমতা দখল করে তা স্থায়ী করতে তারা সামরিক শক্তিকে ব্যবহার করেছে। জোড় করে ক্ষমতায় থাকা যায়না এবং তারা গনবিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। দেশে দু:শাসন আর দুর্নীতি প্রতিষ্ঠা করে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে তারা। তাদেরও সুযোগ ছিল দেশে উন্নয়ন করার। চাইলে তারাও পারত দেশের অবস্থা বদলে দিতে। কিন্তু তা না করে ক্ষমতাকে ব্যবহার করে অবৈধ অর্থ পাচার করেছে বিদেশে। আমরন ভোগ বিলাসে জীবন কাটাতে চেয়েছে। দেশের কথা, মানুষের কথা তারা ভাবেনি অথবা ভাবতে চায়নি।
বর্তমান সরকার যখন আশাতীত উন্নয়ন করে জনগনের সমর্থন অর্জন করেছে তখন, তারা প্রতিহিংসামূলক আচরন শুরু করেছে। তাদের চোখে সরকারের কোন সাফল্যই ধরা পরে না বা দেখতে চাননা। তিরস্কার আর বিদ্রুপ করে জনগনের সমর্থন পেতে অবিরাম মিথ্যাচার করে চলেছে। বিশ্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন সব সূচকে এগিয়ে গেছে এবং তা প্রকাশ করেছে। পদ্মা সেতু করে অবাক করে দিয়েছে বিশ্বকে। দেশের মানুষ উৎফুল্লে মেতে উঠেছে। জনতার এই উল্লাস দেখে বিরোধী দলের নেতাদের মনকষ্ট হতেই পারে। কিন্তু দেশের মানুষ প্রসংশা করছে সরকারের। কিছু জ্ঞানপাপি তারা অজানা কারনে শুধু ব্যর্থতাই দেখেন সরকারের। পদ্মা সেতুর এত বড় নির্মান প্রকল্পেও শুধু দুর্নীতি খোঁজেন। এমনটি তারা কেন করেন, সরকারের সমালোচনা করেন কারনটি না বললেও অজানা নয় কারোরই। জনগনও এখন আর ফাঁকা বুলিতে বিশ্বাস করেনা। বাস্তব চিত্র দেখে নেতাদের বিবৃতি বক্তৃতা আর শোনতে চায়না। দেশের উন্নয়ন দেখে জনগন অযোগ্য নেতাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
রাজনীতিতে ভিন্ন মত থাকবেই কিন্তু, দেশের উন্নয়নের বিরোধীতা করা দেশদ্রোহিতারই সামিল। রাজনৈতিক নেতাদের কাছে এমনটি কাম্য নয়। গঠনতান্ত্রিক সমালোচনা গনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে কিন্তু, মিথ্যাচার অপরাজনীতি। অপরাজনীতি করে জনগনকে দলে ভেরানো যায়না। এর ফলাফলও হয় ভয়ঙ্কর। সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মান করে তার কৃতত্ব চাইতেই পারে। নেতাদের উচিৎ ছিল সরকারকে কৃতত্বটি দেয়া। পদ্মা সেতু ছাড়াও বর্তমান সরকারের সাফল্য বহু। নেতারা তা জানেন। নিজেদের ব্যর্থতাটিও তাদের চেয়ে কে আর ভাল জানে! মনকষ্ট হতেই পারে কিন্তু জ্ঞানপাপি আর বিরোধী নেতারা যা বলছেন, যা বোঝাতে চাইছেন তা শিশুসুলভ বৈরিতা। এসব করে নিজেদের অযোগ্যতাটিই প্রমান করছেন তারা। শেখ হাসিনা দেশের জন্য যা করেছেন তার কৃতত্ব দাবী করার অধিকারও তার আছে! ব্যর্থতার দায় স্বিকার করে সমালোচনা গ্রহন করার সভ্যতা দেখানোই রাজনীতি। তা যদি না পারেন তাহলে রাজনীতি থেকে সরে পরুন। রাজনীতিতে কৌশল থাকবে মিথ্যাচার নয়। মিথ্যার রাজনীতি স্থায়ী হয়না।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট ও আওয়ামীলীগ নেতা, টরন্টো, কানাডা।