মো:আমিন আহমেদ, সিলেট: সিলেটের বাজারগুলোতে সব ধরনের মুরগি, মাছ-মাংস, ভোজ্যতেল, চিনি ও তরল দুধের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রোজা সামনে রেখে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। দাম বাড়ার পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দু’মাসের বেশি সময় ধরে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। বিশেষ করে পাকিস্তানী কক জাতের লাল ও হলুদ বর্ণের মুরগির দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
প্রতিকেজি পাকিস্তানী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা। আর মাঝারি সাইজের প্রতিপিস মুরগি কিনতে ২৫০-২৬০ টাকা ক্রেতাকে ব্যয় করতে হচ্ছে। প্রতিকেজি গরুর মাংসে ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ৫৮০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। অনেক মাংস বিক্রেতা ভাল গরুর কথা বলে পরিচিত ক্রেতার কাছ থেকে ৬২০-৬৩০ টাকা পর্যন্ত দাম নিচ্ছেন। বাজারে বেড়ে গেছে সব ধরনের মাছের দাম। এছাড়া হালুয়া, রুটি তৈরিতে ব্যবহার এমনসব নিত্যপণ্য বিশেষ করে চিনি, বুটের ডাল, তরল দুধ এবং সুজির দামও বেড়ে গেছে।
ব্যাবসায়ীরা ডিজিটাল বাংলা নিউজ রিপোটার মো: আমিন আহমেদ কে জানান, আদা, রসুন, জিরাসহ সব ধরনের মসলাপাতির দাম বেড়ে গেছে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। গত এক মাসে কেজিতে ১০ টাকার বেশি বেড়েছে চিনির দাম। প্রতিকেজি খোলা চিনি ৭০ এবং প্যাকেটজাত চিনি ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। প্রতিলিটার তরল দুধ আগে ৭০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ক্রেতাকে ব্র্যান্ডভেদে ৭৫-৮০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। রোজা সামনে রেখে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
সিলেট মেজরটিলা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রহমান মিয়া বলেন, প্রত্যেক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। এ ছাড়া লাল লেয়ার মুরগি ২০০-২২০ টাকা, পাকিস্তানী কক মুরগির পিস ২৫০-২৮০ টাকা এবং দেশী মুরগি ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
সিলেট শিবগন্জ বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী কাহাফ মিয়া বলেন, বাজারে গরুর মাংসের দাম অনেক বেশি হওয়ায় এবার মুরগির চাহিদা বেড়েছে। তবে সে তুলনায় মুরগির সরবরাহ নেই বাজারে।
সিলেট কাজির বাজারে আঃরফিক জানান, সম্প্রতি যান চলাচল অব্যাহত হওয়ায় সিলেটের বাজারগুলোয় মুরগির সরবরাহে তারতম্য ঘটেছে। তাই পাইকারিতে দাম বেড়ে গেছে। দেশি জাতের সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।