চলমান মহামারি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে রীতিমতো কাঁপছে ইন্দোনেশিয়া। সংক্রমণে রাশ টানতে ‘মাস্ক’ পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বীরত্ব প্রমাণে অনেকেই ‘মাস্ক’ না পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর সেই ‘নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের’ শিক্ষা দিতে এবং মনে ভয় আনাতে অভিনব শাস্তির পথে হাঁটল ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ‘মাস্ক’ না পরার জন্য হাতনাতে পাকড়াও করা আট ব্যক্তিকে দিয়ে খোঁড়ানো হল কবর। মাটি খোঁড়ার জন্য যে শারীরিক কসরৎ করতে হয়েছে, তার চেয়ে যে ‘মাস্ক’ পরা অনেক ভাল ছিল, বুঝতে পেরেছে বেচারারা।
অন্যদিকে, জাভার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মনে করছে, ‘এমন অভিনব শাস্তি মাস্ক না পরা ব্যক্তিদের মনে ভয় তৈরি করবে। তাতে তাঁরা সতর্ক হয়ে মাস্ক পরবেন। সত্যিই কী তাই?
ব্রিটেনের দৈনিক পত্রিকা ‘ডেইলি মেইল’–এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের পূর্বে গ্রেসিক অঞ্চলে মাস্ক না পরার জন্য আটজনকে আটক করা হয়। হাতেনাতে ধরা পড়ার পরে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে এযাত্রায় রেহাই পেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছাড়া হয়নি তাদের। বরং পাশের এনগাবেতান নামে একটি গ্রামের কবরস্থানের কবর খুঁড়তে কাজে লাগানো হয় শাস্তিপ্রাপ্ত আট ব্যক্তিকে। কবর খুঁড়লেও অবশ্য মৃতের শেষকৃত্যে ছিলেন না ওই আটজন। আর যার জন্য কবর খোঁড়া হয়েছিল, তিনি করোনাভাইরাসের ছোবলেই মৃত্যুর মুখে লুটিয়ে পড়েছিলেন।
কয়েকদিন আগেই ইন্দোনেশিয়াতেই মাস্ক না পরার অপরাধে ঢাকনা খোলা কফিনে ঢুকে একশোবার ভুল স্বীকার করার মতো শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। ওই অদ্ভুত শাস্তি নিয়ে অবশ্য সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। এবার অবশ্য কবর খোঁড়ার শাস্তি নিয়ে কেউ কোনও আপত্তি জানায়নি।
প্রসঙ্গত, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইন্দোনেশিয়ায় এখন পর্যন্ত দুই লাখ ২১ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েচেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৮৪১ জন।