আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তাইওয়ানের সঙ্গে সামরিক সম্পর্কের পরিণতির বিষয়ে বেশ কয়েকবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে চীন। এরই মধ্যে তাইওয়ান উপকূলে একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে তাড়া দেওয়ার দাবি করেছে চীন।
গতকাল শনিবার মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি সংবেদনশীল তাইওয়ান উপকূলে ঢুকে পড়লে সেটিকে ধাওয়া করে চীনা সেনাবাহিনী। তাইওয়ানের স্বাধীনতার সমর্থকদের উস্কে দিতে এটি এসেছিল বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এবার নিয়ে চলতি বছর ১২তম বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জাহাজ প্রণালীটি অতিক্রম করল। তাইওয়ানকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে চীন। কিন্তু অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র বিক্রিসহ এই দ্বীপটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও তাইওয়ান প্রণালীতে নিয়মিতভাবে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোয় ক্ষুদ্ধ হয়ে আছে তারা।
ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে চীনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, প্রণালী পার হওয়ার পুরোটা সময়জুড়ে তাদের বিমান ও নৌবাহিনী মার্কিন জাহাজটিকে ‘অনুসরণ ও পর্যবেক্ষণ’ করেছে।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই ঘটনার পর ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের কুটনৈতিক সম্পর্ক আরো তিক্ত হয়ে উঠতে পারে।
এ বিষয়ে মার্কিন নৌবাহিনী বলেছে, গাইডেড মিসাইল ধ্বংসকারী ইউএসএস মুস্তিন ১৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে তাইওয়ান স্ট্রেইট ট্রানজিট পরিচালনা করেছে। মার্কিন প্রতিশ্রুতি মেনেই জাহাজটি তাইওয়ানের জলসীমার বাইরে দিয়ে খোলা ভারত সাগরে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। যুক্তরাষ্ট্র একটি শান্ত ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক চায় বলেও জানায় তারা।
উল্লেখ্য, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ১১ বার তাইওয়ান উপকূলসীমা লঙ্ঘন করে। গত চার দশকে তাইওয়ানের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা তাইওয়ানের কাছে জঙ্গি বিমানসহ আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে।