এবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে উঠে এলো ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়টি।
গতকাল সোমবার (১৭ জুলাই) ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে এ নিয়ে প্রশ্ন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী। একই সঙ্গে বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
জবাবে মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। বাংলাদেশ সরকার একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবে বলেই যুক্তরাষ্ট্রের আশাবাদ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র দেশটির নির্বাচন প্রক্রিয়া গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এদিন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে জ্যাকসন হাইটসে হেনস্তা করার ঘটনায় অভিযুক্তের গ্রামের বাড়িতে হামলা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য জানতে চান ফজল আনসারী। জবাবে একই উত্তর দেন মিলার।
গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র। বাংলাদেশের উপনির্বাচনে রাজনৈতিক সংঘাতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এ কথা জানান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় বলে আবারও জানান তিনি।
সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নিরুত্তাপ ভোট শেষ বিকেলে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বনানীর বিদ্যানিকেতন কেন্দ্র পরিদর্শনে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
পরিদর্শন শেষে বের হওয়ার সময় ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিয়ে তার ওপর চড়াও হন কিছু মানুষ। এ সময় হিরো আলমকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে দৌড়ে পালিয়ে যান তিনি।
পরে তিনি এক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এদিকে, নির্বাচন বিতর্কিত করতেই ষড়যন্ত্র হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখার দাবি জানান আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন