যে কোটটি জাতীয় রাজনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ পোশাক, যে কোট নিয়ে জাতি গর্ব করে, যে কোট শেখ মুজিবের – সে কোট যখন কোন শয়তান পড়ে, আওয়ামীলীগকে কলঙ্ক তিলক পড়াতে যারা এ কোট পড়ে অপকর্ম করে, যে কোট মানুষরুপী জানোয়ারগুলো পড়ে তখন আমি কষ্ট পাই, লজ্জিত হই এবং নিজেকে অপরাধী মনে করি। এতো কয়েক টাকা দিয়ে কেনা ফ্যাশন কোট নয়। এর প্রতিটি ধাপে আছে বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস, শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ইতিহাস, আছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির স্বপ্নের সোনার বাংলার প্রতিচ্ছবি , রুপসী বাংলা সৃষ্টির কারিগরের স্মৃতি, আছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ছাপ। এই বিশেষ কোট কি সবার গায়ে শুভা পায়? অথচ মানুষরুপী শয়তানগুলোর গায়েই এ মহান কোট।
আজ দুপুরে কক্সবাজারে হায়েনা মুজিব কোটধারী এক শয়তান ঘটাল মানবতা বিরোধী অপরাধ। কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবার ইউনিয়নের সড়ক পথে শত শত মানুষের মাঝখান দিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে গরুর মতো টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে একজন বয়স্কা নারী ও তাঁর সুন্দরী কন্যাকে। তাঁদের অপরাধ কন্যাটি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের প্রস্তাবে বিয়েতে রাজি হয়নি। তাই ‘গরুচোর’ অপবাদ দিয়ে প্রথম দফায় চেয়ারম্যানের পেটোয়া বাহিনী মা-মেয়েকে বেদম প্রহার করে রশি দিয়ে বেঁধে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নিয়ে আসে। তারপর চেয়ারম্যান নিজ হাতে তাঁদের নির্মমভাবে প্রহার করে তার ক্ষমতা প্রদর্শন করে। পরে পুলিশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে। এখন চিকিৎসাধীন থাকলেও কন্যা ও মাতার অবস্থা শংকাজনক। মানসম্মান হারিয়ে মানসিকভাবে তারা বিধ্বস্ত এবং মানসিক ভারসাম্য হারাবার উপক্রম। যদি এই পরিবারটি এ হায়েনার অত্যাচারে কিছু করে বসে কে নিবে এর দায়?
তাই কালবিলম্ব না করে মানুষরুপী এ শয়তানটিকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
প্রশ্ন রইল এ শয়তানগুলো, জানোয়ারগুলো, হায়েনাগুলোর গায়ে এ পবিত্র কোট মুজিব কোট কেন ????
প্রদীপ কুমার দেবনাথ,
গণমাধ্যম কর্মী।
(বি.দ্রঃ মুক্ত মতামতের জন্য সম্পাদক কোনভাবে দায়ী নন। )