মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়,
বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন এককথায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। একযোগে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান, শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে শতভাগ উপবৃত্তি নিশ্চিত করণ, স্কুল ড্রেস, স্কুলব্যাগ ক্রয়ের জন্য এককালীন ১ ( এক) হাজার টাকা প্রদান, মিড ডে মিল চালু, দুর্গম এলাকায় দুপুরে টিফিন প্রদান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালুকরণ, প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে আধুনিক একাডেমিক ভবন সহ শিক্ষা উপযোগী পরিবেশ সহ অসংখ্য অবদান বর্ণনাতীত।
মাননীয় মন্ত্রী,
আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে প্রাথমিক শিক্ষা আজ আধুনিকতার দ্বারপ্রান্তে। বর্তমানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালুকরণ এ সেক্টরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে অনেকটাই এগিয়ে আছে। তাছাড়া বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করণ, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আন্তরিক সহাবস্থান একটি সুস্থ পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণের পরিপূর্ণ আনন্দের সাথে কার্যকর শিক্ষা অর্জনের পরিকল্পনা আজ বাস্তবতার মুখে।
মাননীয় মন্ত্রী,
এ বছরই চালু হওয়া স্কুল ড্রেস, স্কুলব্যাগের জন্য বরাদ্দকৃত ১০০০ ( একহাজার) টাকা যা নিয়মিত এবং উপবৃত্তি প্রাপ্তরা পায়। কিন্তু অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূণরাবৃত্তি বা বিগত বছরের কিছু শিক্ষার্থী আছে যারা কিছুই পায়না। তাদের তখন স্কুল ড্রেস, স্কুল ব্যাগ ক্রয়ের আগ্রহ, বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হওয়ার আগ্রহ থাকেনা। আর পুনরাবৃত্তির অধিকাংশ শিক্ষার্থীই অসচেতন, দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাদের এগুলো ক্রয়ের সামর্থ্যও নেই। তাছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের অভিভাবকগণ এসব বুঝেনা। ফলে, প্রায়ই তারা শিক্ষকদের উপর এর দায় চাপায়, মনোমালিন্য তৈরি হয়। ফলে এসব অভিভাবক, শিক্ষার্থীদের সাথে একটা দুরত্ব তৈরি হয়। এ অবস্থা প্রায় প্রতিটি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটা কমন চিত্র।
তাই মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের বরাবর বিনীত প্রার্থনা এই পুনরাবৃত্তি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি ও ঝরে পড়া রোধে এককালীন ১০০০ ( একহাজার) টাকা প্রদান করার জন্য বিনীত আবেদন রইল।
রাজীব চক্রবর্তী ( পিন্টু),
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি,
বেলাব উপজেলা শাখা, নরসিংদী, বাংলাদেশ।
বি.দ্রঃ মুক্ত মতামতের জন্য সম্পাদক কোনভাবে দায়ী নন।