তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: দেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক জলপ্রপাত ও দ্বিতীয় বৃহত্তম ইকোপার্ক মাধবকুন্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের পথ সুগম আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে ভ্রমন পিপাসুদের জন্য পর্যটন এলাকার প্রায় ৩ কিলোমিটার জুড়ে স্থাপিত হচ্ছে ক্যাবল কার।
এরইমধ্যে এর সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয়েছে। চলছে ক্যাবল কার প্রকল্পের পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়নের প্রতিবেদন প্রণয়নের কাজ। প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্প্রতি স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে বনবিভাগ। বন মন্ত্রণালয়ের ক্যাবল কার স্থাপনের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আরো একধাপ যোগ হবে বিনোদন কেন্দ্রে বৃদ্ধি পাবে দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন। পর্যটন খাতে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়।
জানা গেছে, দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র মৌলভীবাজারের বড়লেখার মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমন পিপাসুরা সারা বছরই সেখানে ভিড় জমান। মাধবকুন্ডের আশপাশের উঁচু-নিচু সবুজ পাহাড়, বন বাদাড়ের নানা প্রজাতির জীবজন্তু,পাহাড়ি ছড়া, খাসিয়া পল্লী, চা বাগান, গহীণ অরণ্যসহ অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় পর্যকটরা শুধু জলপ্রপাত দেখেই ফিরে যান।
স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহাব উদ্দিন পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি মাধবকুন্ডে দেশি-বিদেশি পর্যটক আকৃষ্টে অবকাঠামো উন্নয়নে নানামূখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তারই নির্দেশনায় বন মন্ত্রণালয় পর্যটকদের মাধবকুন্ডের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের ব্যবস্থা করে দিতে ইকোপার্ক এলাকায় ক্যাবল কার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, মাধবকুন্ডে ক্যাবল কার স্থাপন প্রকল্পের প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়নের (ইএসআইএ) প্রতিবেদন প্রনয়নের অংশ হিসেবে মাধবছড়া বীট অফিসে স্থানীয়দের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। মাধবছড়া বীট অফিস থেকে জলপ্রপাত পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় ভুমি থেকে ৭০/৮০ ফুট উপর দিয়ে ক্যাবল কার চলাচলের পরিকল্পনা নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে বন বিভাগ। অতি শীঘ্রই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য যথাযত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।