মাগুরার সদর এবং শ্রীপুর দুই উপজেলার রাজণৈতিক বিরোধ দীর্ঘ চার বছরের। দীর্ঘদিনের জিইয়ে থাকা সেই বিরোধের নিষ্পত্তি করেই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন অ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব শিখর এদিন সদর উপজেলার পৌর এলাকার ভায়না, চোপদার পাড়া. টিটিডিসি পাড়া, দক্ষিণপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালান। মাগুরা-১ আসনটি জেলা সদর এবং শ্রীপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। আর এই দুই উপজেলার মাঝে শ্রীপুরের শ্রীকোল ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিঞা কুটি। এবারের নির্বাচনে প্রধানন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব অ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখরকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দিলে বাধ সাধেন তিনি। বিদ্রোহি প্রার্থি হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি। যে বিষয়টি এপিএস সাইফুজ্জামান শিখরের জন্যে নির্বাচনের পথের একটি বাধা। নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, উভয় পক্ষের বিরোধের শুরু বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে। গত চার বছরে দুই পক্ষের সেই বিরোধের জের ধরে শ্রীকোল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অন্তত ১৭টি হামলা পালটা হামলার ঘটনা ঘটে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমান সংখ্যাক মামলায় আসামী হয়েছে ৫ শতাধিক। আর এসব হামলা মামলার কারণে ওইসব গ্রামের বিবাদমান দুটি পক্ষের শতশত মানুষকে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। অনেককে হতে হয়েছে ঘরছাড়া। কিন্তু সোমবার বিকালে মাগুরার জনপ্রিয় রাজণৈতিক ব্যক্তিত্ব জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শফিকুজ্জামান বাচ্চুর মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষের দীর্ঘদিনের সেই বিরোধের নিষ্পত্তি হলো। যে ঘটনায় উভয় উপজেলার সাধারণ মানুষ এবং বিরোধপূর্ণ এলাকার জনসাধারণের মধ্যে সস্থি ফিরে এসেছে। আর এ ঘটনার মধ্য দিয়ে শিখর নির্বাচনের পথে একধাপ এগিয়ে গেলেন বলে মনে করছেন তারা। শ্রীকোল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা কুতুবুল্লাহ হোসেন কুটি ২০১৪ সালের নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ প্রার্থি প্রফেসর ডাক্তার সিরাজুল আকবরের বিরোধীতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থি হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। হরিণ মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি মাত্র ৯ হাজার ৫৭৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।:- মাগুরা জেলা প্রতিনিধি, এইচ.এম রাজিব