ডিবিএন ডেস্কঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার হেফাজতে ইসলামের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে ৩১৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি করে জানিয়েছেন, সদ্য বিলুপ্ত হওয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর ছেলের বিয়েতেই সাবেক আমির আল্লামা শফীকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়। ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে মামুনুল হক, জুনায়েদ আল হাবিবসহ কয়েকজন নেতার বৈঠক হয়। আর সেই বৈঠকেই আল্লামা শফীকে সরিয়ে বাবুনগরীকে আমির করার পরিকল্পনা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক সহিংসতার ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের সংশ্লিষ্ট নেতাদের পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করা হচ্ছে। সম্প্রতি নাশকতার অভিযোগে ঢাকাসহ সারাদেশে বেশ কিছু মামলা রুজু হয়। এর মধ্যে ঢাকায় ১২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া ২০১৩ সালে হেফাজতের শাপলা চত্বরে সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা নাশকতার ঘটনায় মোট ৫৩টি মামলা দায়ের হয়। ফলে এই মামলা গুলোসহ মোট ৬৪টি মামলা তদন্তাধীন আছে। এ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের ১৬ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।যার ফলশ্রুতিতে এরই মধ্যে রবিবার (২৫ এপ্রিল) হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়। ১৯ এপ্রিল তাকে একটি মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ২৬ এপ্রিল তাকে আদালতে হাজির করে অন্য দুই মামলায় আরো ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে পুলিশ জানায়, সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া হেফাজত নেতাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তানের ‘তেহেরিক-ই-লাব্বায়িক’ নামে সংগঠনের আদলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে গঠন করে পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মতো এ দেশকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তারা।