দিন পেরোলেই মহান বিজয় দিবস। যাদের ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ভূখণ্ড আজ স্বাধীন, জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করতে পুরোপুরি প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। দীর্ঘ একমাস ধোয়ামোছা শেষে শ্রদ্ধা গ্রহণের অপেক্ষায় এখন গর্বের স্মৃতির মিনার।
পশ্চিম পাকিস্তানের অধীনে ২৪ বছরের শোষণ-বঞ্চনা ইতিহাস পেছনে ফেলে ৫০ বছরের সার্বভৌমত্বের নতুন ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। তাইতো ৪৯তম বিজয়ের দিনটিকে আলাদা করে রাঙাতে জাতির গৌরবের সৌধে রঙতুলি দিয়ে শেষ মুহূর্তের আঁচড় দিচ্ছেন শিল্পীরা।
দীর্ঘ অগ্রযাত্রায় প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির সমীকরণ ঘিরে কিছুটা ভিন্নমত থাকলেও দিন শেষে ১৮ কোটি বাঙ্গালির পরম ঠিকানা এই লাল সবুজের জমিন। তাই বিজয় দিবস উদযাপনে ১০৮ হেক্টরের পুরো সৌধকে লাল সবুজ দিয়ে মুড়ে দেয়া হয়েছে।
একজন বলেন, তাল পাতা ও ফুল দিয়ে এখানে একটা জাতীয় পতাকা বানিয়েছি।
আরেকজন বলেন, এখানে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার ফুল গাছ লাগিয়েছি এবং ২৫শ’র মতো ফুলের টপ রোপণ করেছি।
গণপূর্তের এক কর্মী বলেন, এখানের স্থাপনায় সকল জনগণই মালা দেবেন। এজন্যই আমরা এখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছি।
আরেকজন বলেন, এখানে যে লেখাগুলি দেখছেন, প্রতিবছরই এখানে পুরনো লেখাকে আমরা নতুন করে লেখি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিজয়ের প্রথম প্রহরে স্মৃতিসৌধের বেদিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ পরে আগত আপামর জনতার সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আসওয়াদুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি এখান থেকে চলে যাওয়ার পরেই সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
সাভার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জোয়ার্দার তাবিদুন্নবী বলেন, চার স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা এখানে রাখা হয়েছে। এখানের প্রথম গেট হলো বের হওয়ার। আর প্রবেশের জন্য রাখা হয়েছে দ্বিতীয় গেট। এখানে নিরাপত্তা বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী প্রায় ৪৫টা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে জাতির সূর্য সন্তানদের বীরচিত্তে স্মরণ করে গার্ড অব অনার দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে তিন বাহিনীর বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি চৌকস দলও।