মশার উৎপাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও। অথচ থাকেন ঢাকার অভিজাত আবাসিক এলাকা বারিধারায়। আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কথাটা জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নেপাল ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত। এরপর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকার অভিজাত আবাসিক এলাকা বারিধারায় থাকি, এখানেও অনেক মশা। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। নিজের বাড়ি নিজেকেই পরিষ্কার রাখতে হবে।
তিনি বলেন, গ্রামে কিন্তু এত মশা নেই। সেখানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম। এটা ঢাকা শহরেই বেশি। সিটি করপোরেশন বেশি নজরদারি করলে আশা করি কমে আসবে। যদিও তারা চেষ্টা করছে, স্প্রে করছে। তবে যে পরিমাণে দেয়ার কথা সে পরিমাণ হয়তো দেয়া সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, দেশে ডেঙ্গু রোগের পাশাপাশি মৃত্যুহারও বেড়ে গিয়েছিল। আশপাশের দেশগুলোতেও একই অবস্থা। এখন পর্যন্ত ৫৮ হাজার রোগী আমরা পেয়েছি৷ এর মধ্যে ৩৬ হাজার রোগী ঢাকা সিটি করপোরেশনের মধ্যে। এখানে ড্রেনেজ সিস্টেম বেশি, পানিও জমে থাকে বেশি। এসব জায়গায় স্প্রে করা প্রয়োজন। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়ে সবাই চিকিৎসা পেয়েছেন বলে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে এসেছে। সময়মতো আরও কার্যকর কীটনাশক ব্যবহার করা গেলে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও কমানো যেত। আগে এক হাজার রোগী প্রতিদিন আসতো। এখন ৪শ করে ভর্তি হচ্ছে। মৃত্যুহারও কমেছে।
দেশে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করা হচ্ছে; আর সেটা শিগগিরই মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা রয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ কঠোর শাস্তির বিধান আছে। চিকিৎসকদের সুরক্ষার বিষয়টিও আইনে গুরুত্বের সঙ্গে রয়েছে।
করোনার টিকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় ডোজের পর এবার করোনার চতুর্থ ডোজ বা দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৬০ বছরের বেশি বৃদ্ধদের চতুর্থ ডোজ করোনার টিকা দেয়া হবে। আগ্রহী ব্যক্তিরা যেকোনো সময় এ টিকা নিতে পারবেন।