ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। একইদিন পটুয়াখালী, বরগুনা, মুন্সীগঞ্জ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ এবং উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ সিটিতে ২৭ শতাংশ ও কুমিল্লা সিটিতে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, সকাল থেকে স্থানীয় সরকারের ২৩১ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। সকালে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের একটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, দুই সিটির নির্বাচনে এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি মেয়র পদে উপনির্বাচনে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর ময়মনসিংহ সিটিতে ভোট পড়েছে ২৭ শতাংশ।
ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটির বাইরে তিনটি পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন, পৌরসভার শূন্য পদে উপনির্বাচন ১৫টি, ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ১৩টি, ইউনিয়ন পরিষদের শূন্য পদে উপনির্বাচন ১৯০টি, জেলা পরিষদে শূন্য পদে সাতটি উপনির্বাচনে লড়ছেন প্রার্থীরা।
এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনের ১২৮টি কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনসহ ভোটের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছায়। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সাড়ে চার হাজার সদস্য।
ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, সে জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল হক খান (টজু), জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহীদুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ রেজাউল হক।
অন্যদিকে, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি মোবাইল টিম, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ২টি রিজার্ভ টিম থাকছে। এছাড়া নিয়োজিত থাকছে র্যাবের ২৭টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার স্বতন্ত্র প্রার্থী-তাহসীন বাহার, নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, মোহাম্মত নিজাম উদ্দিন ও মো. মুনিরুল হক। এতে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার ১০৫টি কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন ও হিজড়া দুজন।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম