আগামী দুই দিনে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিশেষ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঝড়ের পূর্বাভাসে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বর্তমানে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিক বরাবর ভারতের উপকূলমুখী অগ্রসরমান থাকতে পারে, যার গতিপথ পরবর্তী সময়ে উত্তর-পূর্বমুখী পরিবর্তিত হয়ে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে ওই বিশেষ বার্তায় জানানো হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় সংশ্লিষ্ট কারণে আগামী ২ থেকে ৩ মে ভারতের মেঘালয় অববাহিকায় এবং ৬ থেকে ৭ মে ভারতের মেঘালয়সহ বাংলাদেশের মেঘনা অববাহিকা, মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার সকাল ৬টার সময় ঘূর্ণিঝড় ফণী চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক হাজার ৭৪৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে এক হাজার ৬৬৫ কিলোমিটার, মংলা বন্দর থেকে এক হাজার ৭২৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ৬৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এদিকে রোববার সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রভাবে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়াবিদ মো. আফতাবুদ্দিন সংবাদ সংস্থা বাসসকে জানান, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ফরিদপুর অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রভাবে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে।
ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে।
এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
রোববার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’তে পরিণত হয়ে বর্তমানে এটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজ করছে। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজমান রয়েছে।