ভোলা জেলা প্রতিনিধি ( মোঃ শফিকুল ইসলাম বাবু ) ভোলার চরাঞ্চলে মহিষ পালনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।বিভিন্ন চরাঞ্চলে পৌছে গেছে চিকিৎসা সেবা। এতে বাড়ছে দুধের উৎপাদন।আধুনিক ও উন্নত ষাড় মহিষের পেয়ে বাথানে আসছে নতুন জাত।আধুনিক পদ্ধতিতে মহিষ পালন সহ স্বাস্থ্যকর উপায়ে মহিষ পালনে সহযোগিতা করছে পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন ( পিকেএসএফ )। গত কয়েক বছরে মহিষের মৃত্যু কমে যাওয়া ও দুধের উৎপাদন বেড়েছে বলে মনে করেন মানব সম্পদ বিভাগ। এতে বেজায় খুশি মহিষ মালিকরা।
জানা যায়, জেলার সাত উপজেলায় ছোট বড় চর রয়েছে ৭০ টি।যার মধ্যে গরু ও মহিষ চরার জায়গা রয়েছে ৪৫ টি।এ ৪৫ টি তে ৮৮ হাজার মহিষ রয়েছে।
নানা প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে এসব মহিষ পালন করে আসলে ও স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে মহিষ পালন ও মহিষের মৃত্যু ঠেকাতে না পারায় লোকসান গুনতে হত মহিষ মালিকদের। মহিষ পালনে প্রসার ও জনপ্রিয় করে তুলতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে পিকেএসএফ।
মহিষ পালন কারী চরের আবু বকর,দৌলতখানের মোতাহার,লুত্ফর ও সিরাজ উদ্দিন সহ অনেকে জানান,আগে মহিষ পালন করে তেমন সুযোগ সুবিধা পাওয়া যেত না। বিশেষ করে মহিষের অসুখ বিসুখ হলে বেশি দুরচিন্তায় পরতে হত।কিন্তু এখন হাতের নাগালে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থা।
মহিষ মালিক তরিকুল ইসলাম মাস্টার জানান, গত এক বছর ধরে মহিষের মৃত্যুর হার কমে গেছে অনেকটাই। উন্নত ষাড় দ্বারা মহিষের প্রজনন করায় স্বাস্থ্যসম্মত বাচ্চা ও পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে ভোলার চরাঞ্চলে মহিষের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কারনে দিন দিন মহিষ পালন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। চরাঞ্চলে মহিষ পালনে দেখা দিয়েছে এক উজ্জ্বল সম্ভাবনা।
এ ব্যাপারে পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের উপ – ব্যাবস্হাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদের বলেন, চরাঞ্চলে মহিষ পালন বেড়েছে। আমরা বিভিন্ন ধাপে পর্যালোচনা করে আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত মহিষ পালনে সফলতা অর্জন করেছি। ভবিষ্যতে ও এ প্রকল্পকে আরো প্রসার করার চিন্তা রয়েছে।
দ্বীপ জেলা ভোলায় প্রতিদিন ৫০০ মেট্রিক টন গরু ও মহিষের দুধের উৎপাদন চাহিদা রয়েছে। যার বিপরীতে জেলায় উৎপাদন হচ্ছে ৪২০ মেট্রিক টন।
ভোলার মহিষের দুধের খ্যাতি রয়েছে বিশ্ব জুড়ে। এ দুধ বরিশাল সহ দেশের অনেক জায়গায় খুব জনপ্রিয়।
ভোলার মহিষের দধি এক নামে দেশের সবার মুখে মুখে।