খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ বন্ধে কাজ করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আল-আমিন এর নেতৃত্বে র্যাব-৯ ফোর্সে এর সহযোগিতায় রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সোনার বাংলা রোড ও নতুনবাজারের বিভিন্ন মশলার মিলে মনিটরিং ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
গত ৬ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯ টি মশলার মিলের মালিকের উপস্থিতিতে মিল মালিকদের করণীয় প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উক্ত সভায় মিল মালিকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা নিম্ন মানের মশলার সাথে আর রং মিশ্রণ করবেন না। কিন্তু আজ ১৮ ডিসেম্বর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের তদারকি অভিযান পরিচালিত হয়।
উক্ত তদারকি অভিযানে মশলার সাথে রং মিশানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন বাজারে অবস্থিত সুরমা মশলা মিলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়। এছাড়াও নতুনবাজারে অবস্থিত নিউ জননী ষ্টোরের মালিক সুরমা মশলার মিলের কর্মচারীকে দিয়ে রং ও চালের গুঁড়া মিশিয়ে মশলার গুণগত মান নষ্ট করেন। পরবর্তীতে নিউ জননী ষ্টোরে রং মিশ্রিত মশলা পাওয়া যায় এবং তারা অপরাধ স্বীকার করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি উক্ত দুইটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আজকের অভিযানে মোট ২ টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়। আজকের তদারকি অভিযানে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিলগালা করে ব্যবসায়ী কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ষোষণা করা হয় এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমিন বলেন, মৌলভীবাজার কার্যালয়ে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে উপস্থিত থেকে লিখিত জবাবের মাধ্যমে তাদের উক্ত অপরাধের কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি চুড়ান্ত বন্ধ কেন করা হবে না মর্মে লিখিত আকারে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।