কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ টানা পাঁচ দিনের টানা বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর জনজীবন। কখনো থেমে থেমে, কখনো হাল্কা, কখনো মাঝারী ধরনের আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত রোববার (৩ এপ্রিল) মধ্য রাত থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুর হোসেন।
টানা ৫ দিনের বৃষ্টিপাতের কারনে বিপাকে পরেছেন উপজেলার খেটে-খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষজন। অপরদিকে পাঁচ দিনের টানা বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চল ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ওইসব এলাকার মানুষজন।
রোববার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ঘোড়ার গাড়িচালক, সবজি বিক্রেতাসহ শ্রমজীবী মানুষদের বৃষ্টিতে ভিজে দূর্ভোগ নিয়ে চলতে দেখা গেছে। এসময় অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের দূর্ভোগের কথা। সাড়ে তিনশত টাকার দৈনিক মজুরিতে রাজমিস্ত্রীর জোগালির কাজ করেন রফিকুল।
তিনি জানান, গত ৫ দিন থেকে বৃষ্টির কারণে কাজে যেতে পারেননি। রোজগার বন্ধ রমজানের রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
ঘোড়ার গাড়ি চালক মজিবর মিয়া ও আমজাদ জানান, চৈত্র মাসে এমন টানা বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয় তা কখনো শোনেননি। তারা জানান নিয়মিত ভোরে শহরে আসেন ভাড়ার জন্য। কিন্তু কদিন ধরে বৃষ্টিপাতের কারনে ভাড়া জুটছে না। কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাটেশ্বরী এলাকার রিকশাচালক আলম হোসেন জানান, বৃষ্টির কারনে সকাল থেকেই যাত্রী মিলছে না। এক-দুটো যাত্রী মিললেও বৃষ্টির কারনে তারা রিকশায় উঠছে না। কিন্তু জিনিস পত্রের অনেক দাম। আয় করতে না পারলে পরিবার নিয়ে খাবো কি? রোজাই বা থাকবো কেমনে?
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুর হোসেন বলেন, রোববার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এটি অস্থায়ী আবহাওয়া তবে রংপুর বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া সহ বজ্র বৃষ্টি হতে পারে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমনটাই জানানো হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।