ভূমিকম্পে ধ্বংস হওয়া উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এক নবজাতক মেয়েকে মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে দেশটির আফরিনের কাছের একটি হাসপাতালে ওই শিশুটির চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে শিশুটির এক আত্মীয় জানান, তার মা দুর্যোগের পরপরই প্রসবের শিকার হয়েছেন এবং সন্তান জন্মের পরই মারা গেছেন। ভূমিকম্পে তার বাবা, চার ভাইবোন এবং এক খালাও নিহত হন। খবর- বিবিসি
শিশুটির একটি ফুটেজে এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিকমাধ্যমে। এতে দেখা গেছে, জিন্দারিসের ধ্বংসাবশেষ থেকে টেনে আনার পর একজন ব্যক্তি শিশুটিকে কোলে করে নিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে। শিশুটির চাচা খলিল আল-সুওয়াদি মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা খনন করার সময় একটি আওয়াজ শুনতে পাই। তখন ধুলো পরিষ্কার করি এবং নাভির সঙ্গে নাড়ি জড়ানো অবস্থায় শিশুটিকে পেয়েছি, পরে আমরা নাড়ি কেটে ফেলি এবং আমার চাচাতো ভাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হানি মারুফ বলেছেন, শিশুটির সমস্ত শরীরে বেশ কিছু ক্ষত নিয়ে খারাপ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা তার শরীরকে গরম করি এবং ক্যালসিয়াম দেই।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৯ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার ভোরে মানুষ যখন ঘুমাচ্ছিল, তখন ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে জরুরি উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে, ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সাত দিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এরদোয়ান টুইটারে বলেন, আমাদের সরকারি ও বিদেশি সব দপ্তরে ১২ ফেব্রুয়ারি সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
সূত্র : বিবিসি
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান