তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৩০০ জন ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ছয় হাজারের বেশি মানুষ। তুরস্কে কমপক্ষে ৯১২ জন এবং সিরিয়ায় ৪৬৭ জন মারা গেছে। খবর আলজাজিরা।
ভূমিকম্পে ধসেপড়া ভবনে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ। দুর্যোগ মোকাবিলার দ্রুত পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ব নেতারাও। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতা।
তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ ও সিরিয়ার বেশ কয়েকটি বড় শহরের বহু স্থাপনা ধসে পড়েছে। এ সময় বেশির ভাগ মানুষ ঘুমে থাকায়, হতাহতের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। স্বজনদের খোজে ধ্বংসস্তূপ ও হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন স্বজনরা।
ভূমিকম্পের তীব্রতা এতই প্রবল ছিল যে, সাইপ্রাস, লেবানন এমনকি ইরাকেও অনুভূত হয়েছে এটি।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, প্রথম কম্পনের প্রায় ১১ মিনিট পর ছয় দশমিক সাত মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ ছাড়া, ঘটনার দুই ঘণ্টার মধ্যে ৪২ বার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সাহায্য পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে তুরস্কের সরকার।
দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এক বিবৃতিতে বলেন, ভূমিকম্পের পর শুরু করা কাজগুলো সমন্বয় করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় উদ্ধার কর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে।
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিরূপণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউএসএইড ও অন্য ফেডারেল দেশগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন