ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। এর আগে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গত ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুটি মামলা করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এই মামলাটি করেছেন।
আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী নুরুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে আগে রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। এবার তিনি শুধু নুরুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলেন।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (১)/ক, ২৯ (১) ও ৩১ (২) ধারায় মামলাটি করেছেন ওই ছাত্রী। মামলার এজাহারে নুরুলকে ‘আইন অমান্যকারী, বাকপটু ও ধূর্ত ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ওই ছাত্রী। সম্প্রতি ফেসবুকে লাইভে আসেন নুরুল। ধর্ষণের মামলা করা ওই ছাত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে লাইভে বিভিন্ন কথা বলেন নুরুল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল নুরুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলেন সেই ছাত্রী।
এদিকে মামলায় ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, আসামি নুরুল একজন আইন অমান্যকারী, বাকপটু ও ধূর্ত ব্যক্তি। তিনি প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মনগড়া, আইনবহির্ভূত, সরকার-রাষ্ট্রবিরোধী অসত্য, অর্থহীন ও উসকানিমূলক বক্তব্য কোনো কারণ ছাড়াই নিজেকে ভাইরাল করার জন্য প্রকাশ করে থাকেন।
গেল ১২ অক্টোবর বেলা আড়াইটায় নুরু নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি তাঁকে (ছাত্রী) দুশ্চরিত্রা বলেন, যা একটি মেয়ের জন্য অপমানজনক শব্দ। এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য সমাজে ঘৃণা-শত্রুতা-অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এতে সমাজে তাঁর (ছাত্রী) সুনাম ক্ষুণ্ণ ও মানহানি হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এগুলো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অন্যদিকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পরিষদের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তাঁরা হলেন মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. নাজমুল হুদা। সাইফুল সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। আর নাজমুল সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি।
আগের দুই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন করছেন ওই ছাত্রী। তিনি বলছেন, সব আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তাঁর অনশন চলবে।
