স্টাফ রিপোর্টারঃ আরাফাত আহমেদ রনি
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) ভার্স্কযবিরোধী বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে হেফাজত নেতা মোহাম্মদ মামুনুল হকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই মামলা করা হয়। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ ফজলুল করি।
মামলার বাদি ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’র সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার মামলা গ্রহণসংক্রান্ত বিষয়ে দুপুরে জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানা গেছে।
মামলার আর্জিতে দাবি করা হয়, আসামি মামুনুল হক গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ মিলনায়তনে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেন। অপর আসামি সৈয়দ ফজলুল করীম একইদিন ধোলাইখালের গেন্ডারিয়াতে এক সভায় রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেন। সর্বশেষ গত ২৭ নভেম্বর হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক সভায় রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেন।
অরাজকতা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল উল্লেখ করে মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘আসামিরা ভীরু, মিথ্যুক, জ্ঞানপাপী, ধর্মের অপব্যবহারকারী, রাষ্ট্র ও সার্বভৌমত্ব বিনষ্টকারী বিদেশি জায়নবাদী শক্তির দালাল চক্র বটে। যারা তাদের অর্জিত জ্ঞানকে বাতিলের পথে পরিচালিত করে পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার নিজেদেরকে ধর্মগুরু হিসাবে আখ্যা দিয়ে দেশের অগনিত শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি পবিত্র ধর্ম ইসলামের প্রতি অগাধ বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে তাদের সামনে ও ফেসবুক-ইউটিউব মারফত অগনিত বাঙালি মুসলমানদের কাছে নিজেদের বক্তব্য, ওয়াজ নসিহত মাহফিলের নামে প্রচার করে পবিত্র ধর্ম ইসলামের মিথ্যা আজগুবি বর্ণনা দিয়ে ইসলাম, মহানবী (সঃ) ও মদিনা সনদকে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানকে বিপরীত ও মুখোমুখি দাঁড় করে বিদেশি প্রোপাগান্ডা বাস্তবায়নের হীন উদ্দেশ্যে নিজেদের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে চটকদার, বিদ্বেষপূর্ণ কাল্পনিক, উত্তেজনাকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বাঙ্গালী মুসলমান সমাজের মধ্যে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও সংবিধান সম্পর্কে ঘৃণা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে যোগসাজশে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। এছাড়া আসামিদের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে মধুদার ভাস্কর্য, কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মিতব্য ভাস্কর্যসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাস্কর্য ভাঙা হচ্ছে। উস্কানিমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আর এসবই রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।