কক্সবাজারের ঘিঞ্জি শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের ৭শ’থেকে ৮শ’ জনের আরেকটি দল ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ইতোমধ্যে ২০টিরও বেশি বাস কক্সবাজারের উখিয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের নৌ-বাহিনীর ঘাট থেকে নৌপথে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। এবারের দলটিতে প্রায় হাজারের মত রোহিঙ্গা থাকতে পারে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
ভাসানচর প্রকল্পের (আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩) উপপ্রকল্প পরিচালক কমান্ডার এম আনোয়ারুল কবির জানান, ‘মঙ্গলবার কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গাদের একটি দল ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তাদের গ্রহণের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। তবে দ্বিতীয় দফায় এ দলে কতজন, সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
টেকনাফের শামলাপুর রোহিঙ্গা শিবিরের হেড মাঝি আবুল কালাম জানান, তার শিবির থেকে প্রায় ৩০টি পরিবার স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে প্রস্তুতি শেষ করেছে। তারা সোমবার সকালে ভাসানচরে যেতে ক্যাম্প ত্যাগ করেছে। প্রথম বারেও তার ক্যাম্প থেকে বেশ কিছু রোহিঙ্গা পরিবার ভাসানচরে গেছেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে আশ্রয় নেওয়াসহ বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করছেন।
রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। সেখানে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে স্থানান্তরের প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা হাসিমুখে ভাসানচরে পৌঁছেছিল।