সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারাদেশের সব নিম্ন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে ১০ কার্যদিবসে শিশুসহ ২০ হাজার ৯৩৮ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে সারা দেশে ৩৩ হাজার ২৮৭টি জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করে এই জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাইফুর রহমান জানান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুসারে সারা দেশে অধস্তন আদালতে ১০ কার্যদিবসে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে ৩৩ হাজার ২৮৭টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি এবং ২০ হাজার ৯৩৮ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ১১ মে থেকে জামিন শুনানি শুরু হয়। সর্বপ্রথম ওই দিন কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এক আসামিকে জামিন দেওয়া হয়। ১২ মে ২২০টি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ১৪৪ জন, ১৩ মে ১১৮৩টি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ১০১৩ জন, ১৪ মে ২৪৩৪টি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ১৮২১ জন, ১৭ মে ৪৬৬৪টি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ৩৪৪৭ জন এবং ১৮ মে ৫৭৩০টি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ৩৬৩৩ জন, ১৯ মে ৬৫১৬টি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ৪০৪২ জন, ২০ মে ৭৬৩১টি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ৪৪৮৪ জন, ২৭ মে ১৮৫৬টি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ৮৭৬ জন এবং ২৮ মে ৩০৮২টি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ১৪৭৭ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়। সবমিলে গত ১০ কার্যদিবসে ৩৩ হাজার ২৮৭টি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ২০ হাজার ৯৩৮ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত ১০ মে নিম্ন আদালতের ভার্চুয়াল কোর্টে শুধুমাত্র জামিন আবেদনের শুনানি করতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এ বিষয়ে ওইদিন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর। এরপর থেকে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সকল জেলায় দায়রা জজ আদালত ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মে’র পর সাধারণ ছুটি আর বাড়াচ্ছে না। এ অবস্থায় শনিবার (৩০ মে) বিচারপতিদের ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।