কোভিড-১৯ আসার পর থেকেই ভার্চুয়াল মিটিং শুরু হয়েছে। দেশের চ্যানেলগুলির মত টেলিফোনেই এখন প্রচারনা চালাচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে। সঞ্চালক হয়ে আমন্ত্রন জানায় পছন্দের ব্যক্তিদের, প্রশ্ন করেন দেশে গনতন্ত্র নেই কেন! বিদেশেই এমন আলোচনা বশী হচ্ছে এবং, অংশ নেন দেশের নেতারাও।অন্যভাবেও প্রচারনা চলছে এখন। বক্তব্য রেকর্ড করে ফেসবুকে ছেড়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি এমন কিছু বক্তব্য শুনে খোঁজ পরেছে এরা কারা? প্রচারকদের নেপথ্যের মদদ, উদ্দেশ্য এবং অবস্থানের সন্ধানও শুরু হয়েগেছে। এমন প্রচারনা নতুন নয়, মদদটিও অভিন্ন। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এমন ষড়যন্ত্রেই ১৫ ই আগষ্ট সংঘটিত হয়েছে, ২০০৪ সালের ২১ শে আগষ্ট একই ষড়যন্ত্রের অংশ। ইদানিং অবসরে যাওয়া কিছু সেনা কর্মকর্ত্তা সংগঠিত হচ্ছে প্রবাসে। হুমকি দিচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের। ভারত বিদ্বেষি বক্তব্যে উষ্কে দিচ্ছে মানুষকে। দাবী করছে জয়ী তারা হবেই। প্রচারকদের রাজনৈতিক বিশ্বাস প্রকাশ করেনা কিন্তু, বক্তব্যে মিল রয়েছে বিশেষ একটি দলের সাথে। বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। যারা দেশে গনতন্ত্র নেই দাবী করে তারাই গনতন্ত্রকে হত্যা করেছে। গনতান্ত্রিক পন্থায় নয়, অঘটন ঘটিয়ে তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে তখন, তারা গনতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে দেশের উন্নয়নকে ব্যহত করতে। দেশ যেভাবে এগিয়ে গেছে, ব্যার্থ হলে তাদের অস্তিত্ব সংকট হবে। আরও একটি বিষয় রয়েছে, দক্ষিন পুর্ব এশিয়ায় বৃহৎ রষ্ট্রের আধিপত্য। বাংলাদেশের উন্নয়ন ইর্ষান্বিত করেছে পাকিস্তানসহ ভারতকেও। শেখ হাসিনা এশিয়ার রাজনীতিতে এখন গুরত্বপুর্ন নেতা। বংগবন্ধুও বিশ্ব নেতা হয়ে ইর্ষান্বিত করেছিলেন অনেককে। বিদেশী অনুচর আর দেশীয় বেঈমান শেখ হাসিনার পেছনেও। অর্থ লোভে দেশী বেঈমানরা সর্বদা তৎপর। শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ অচল সে কথা বিদেশীরাও জানে। দেশ রক্ষার প্রয়োজনেই গোয়েন্দা নজরদারি এখন জরুরী। ট্যাকনোলজি ভার্চুয়াল মিটিং করার সুযোগ করে দিয়েছে কিন্তু, তথ্য উদ্ধারেরও সুযোগ রয়েছে। ফেসবুক জনপ্রিয় মিডিয়া, এই মিডায়ার তদারকি কঠিন নয়। অবহেলা করা,সঠিক হবে না। দু একজন কে কানাডা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরাও চিহ্নিত করেছি, তাদের গতিবিধি অনুসরন করছি তবে, বিষয়টি গুরত্বপুর্ন। পৃথিবীর সব দেশেই সরকার বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইউরুপের একটি দেশ থেকে। অনুদান আসছে নিয়মিত। প্রবাসে দলের নেতৃত্বে বিভক্তি আছে দেশের মত কিন্তু, দলের স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই প্রচারনা বন্ধ করা এখন সকলের দায়িত্ব। দূষ্ট চক্রের অপপ্রচারনা বন্ধ করা না গেলে বিপদ আসন্ন।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো,,কানাডা
২৭ আগষ্ট ২০২০।