ভারত থেকে যতদিন পর্যন্ত পেঁয়াজ বাংলাদেশে না আসবে ততদিন পর্যন্ত পেয়াজের বাজার অস্থির থাকবে বলে জানান চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা।
স্টাফ রিপোর্টারঃ আরাফাত আহমেদ রনি
ব্যবসায়ীরা বলছেন, “একটি দেশের ৮০শতাংশ পেঁয়াজ ভারতের উপর নির্ভরশীল, সেই ক্ষেত্রে যদি ভারত পেয়াজ না দেয় তাহলে পেয়াজ দাম বারা স্বাভাবিক।”
মজুতকৃত পেয়াজ প্রসংগে ব্যবসায়ীরা বলেন, “পেঁয়াজ আসে আর বিক্রি হয় এই অবস্থাতে আমাদের পেঁয়াজ মজুদ রাখা সম্ভব না।
ভারত থেকে পেয়াজ আনা হয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে ব্যবসায়ীরা বলেন, “ ভারত থেকে যা পেঁয়াজ দেওয়া হয়েছে তা চাহিদা অনুযায়ী খুব কম। তাতে চাহিদা অনুযায়ী শতকরা ১০শতাংশ পেঁয়াজ দেয় নি ভারত আর যে পেয়াজ ভারত দিচ্ছে তা রপ্তানি বন্ধ হওয়ার অনেক আগের পেঁয়াজ যা রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় আর দেশে ঢুকতে পারে নি। সেই পেঁয়াজ এখন দিচ্ছে ভারত। যার অর্ধেকের চেয়ে বেশি পেঁয়াজ পচে গিয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে খাতুনগঞ্জ পেয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক ইলিয়াস ব্যাপারি ডিজিটাল বাংলা নিউজ কে বলেন, “ পেঁয়াজের বাজার অস্থির হওয়ার পিছনের মূল কারন হলো সাধারন জনগন যারা যে কোন জিনিস দাম বেড়ে গেছে এই কথা শুনলেই চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পেঁয়াজ মজুদ করে রাখে।
মায়ানমার এবং ভারত দুই জায়াগ থেকে পেঁয়াজ আসার পরেও এখনও দামের তেমন একটা প্রভাব পড়ছে না এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ পেঁয়াজ আসলেও তা এখনও আমাদের কাছে পৈাঁছায়নি। যদি আমাদের কাছে এসে পেঁয়াজ পৈাঁছায় তাহলে দাম আরো কমবে।“
হুট করেই পেঁয়াজের দাম আবার বাড়ায় সাধারন মানুষের মধ্যে এক ভয় বিরাজ করছে এর আগেও ভারত পেঁয়াজ না দেয়ায় দাম বেরে ৩০০ টাকা পর্যন্ত পৈাঁছে ছিলো তাই এইবার দাম হাতের নাগালের চলে যাওয়ার আগে সরকারকে কিছু একটা করার আহ্বান জানান সাধারন জনগন।