মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-ভারতে তিন মাসের অধিক সময় অপেক্ষা করে আইনি জটিলতায় আটকে পড়া মা-ছেলে ৩৬ দিন পর অবশেষে বাংলাদেশি উপহাইকমিশনের সহযোগীতায় স্বদেশে ফিরেছেন।শুক্রবার(১১ জানুয়ারি)সন্ধ্যা ৬ টায় ভারতের কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশি উপ হাইকমিশনের কাউন্সেলর ও দুতালয়ের প্রধান বিএম জামাল হোসেন তাদের বাংলাদেশি সার্চ মানবাধিকার সংস্থার বেনাপোলে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার হাতে তুলে দেয়।ভারত থেকে ফেরত আসা নারী হলেন,যশোর ফতেপুর গ্রামের বিল্লাত আলীর স্ত্রী রোকসানা খাতুন(৩০)ও শিশু ছেলে শাওন (০৩)।ফেরত আসা নারী রোকসনা
জানান,ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে তার ভাই ভারতে গিয়ে দিল্লীতে পুলিশের হাতে আটক হয়। খবর পেয়ে সে তার ভাইকে ছাড়ানোর জন্য পাসপোর্টে দিল্লী যায়।এসময় অসতর্কতার কারণে ভারতে তিন মাসের অধিক সময় অবস্থানে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সে ভুলে যায়।পরে দেশের ফেরার জন্য ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে আসলে তারা একসাথে ৯০ দিন অতিক্রম করার অপরাধে প্রতি পাসপোর্টে ২১ হাজার ৬৬০ রুপি জরিমানা পরিশোধ করতে বলেন।কিন্তু তার কাছে কোন অর্থ না থাকায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছিলেন।এসময় বাংলাদেশি উপহাইকমিশন খবর পেয়ে তার পাশে দাড়ায়।তারা ভারত সরকারকে দুই পাসপোর্টে ৪৩ হাজার ২০০ রুপি জরিমানা পরিশোধ করে মা ছেলেকে দেশে ফেরত আসার সহযোগীতা করে। তিনি এ মানবিক কাজের জন্য উপহাইকমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জানা যায়,ভারত সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী(মুসলিম সম্প্রদায়) যারা ট্যুরিষ্ট ভিসায় ভারতে গিয়ে একসাথে ৯০ দিনের বেশি অবস্থান করবে তাদের পাসপোর্ট প্রতি ভারত সরকারকে ২১ হাজার ৬০০ রুপি ও বাংলাদেশি সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের পাসপোর্ট যাত্রী প্রতি মাত্র ১শ রুপি জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের যাত্রীদের আর সংখ্যা লঘু যাত্রীদের ফাইনের মধ্যে এমন ব্যাবধানের এই বৈষম্যের বিষয়ে জানতে চাইলে কলকায় অবস্থিত বাংলাদেশি উপ হাইকমিশন কাউন্সেলর ও দুতালয়ের প্রধান বিএম জামাল হোসেন জানান,এটা ভারত সরকারের পলিসি।