বিনোদন ডেস্কঃ গত ২৫ আগস্ট মুক্তি পেয়েছে অনন্যা পান্ডে ও দক্ষিণী তারকা বিজয় দেবেরাকোন্ডা অভিনীত সিনেমা ‘লাইগার’। এই সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটেছে দক্ষিণী তারকার। অভিনেতার প্রথম ছবিতেই ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ ছবির তকমা পেলো লাইগার। এই ছবির ব্যর্থতার পেছনে অনন্যা পান্ডের খারাপ অভিনয়কেই সবচেয়ে বেশি দায়ী করছেন দর্শকরা। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।
বলিউডে খুব সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বক্স অফিসে পরপর ব্যর্থ কয়েকটি ছবির মধ্যে সবচেয়ে কম আয় করেছে লাইগার। আমির খানের ‘লাল সিংহ চাড্ডা’ এবং অক্ষয় কুমারের ‘রক্ষা বন্ধন’ মুক্তির প্রথম দু’দিনে আয় করেছিল ছয় থেকে নয় কোটি রুপির ওপরে। সেখানে ‘লাইগার’ সাড়ে চার কোটিও পার হতে পারেনি।
অন্যদিকে লাইগারের আইএমডিবি রেটিংও চমকে ওঠার মতো। ১০ পয়েন্টের মধ্যে লাইগারের রেটিং মাত্র ১.৭! যেখানে আমির খানের ‘লাল সিং চাড্ডা’র রেটিং ৫, অক্ষয় কুমারের ‘রক্ষা বন্ধন’ ৪.৬, তাপসী পান্নুর ‘দোবারা’ ২.৯ এবং রণবীর কাপুরের ‘শামশেরা’ ৪.৯ রেটিং পেয়েছে। এটি আইএমডিবিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম রেটিং পাওয়া ভারতীয় ছবি। মাত্র ১৬ হাজার ৫৫১ জন দর্শক ভোট দিয়েছেন এই ছবিটিকে।
এ নিয়ে ইন্টারনেটে ব্যাপক সমালোচনার শিকার অনন্যা পান্ডে। বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে ছবি শেষে ক্ষুব্ধ দর্শকরা তাদের টিকিটের অর্থ ফেরত চেয়েছেন বলেও জানা গেছে। দর্শকদের মতে, এই ছবিতে অনন্যা একেবারেই অভিনয় করতে পারেননি। এ ছাড়া ছবিটির চিত্রনাট্য ও সংলাপও ছিল দুর্বল। তাই ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ ভারতীয় সিনেমা হিসেবে বিবেচ্য হচ্ছে বলিউডে। আর এর জন্য ইন্টারনেটে ভয়াবহ ট্রোলের শিকার হতে হচ্ছে অনন্যাকে।