জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো পাকিস্তানকে। এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ৩৫৬ রান তুলেছিল ভারত। ওয়ানডেতে আগে এতো রান তাড়া করে জেতার ইতিহাস নেই পাকিস্তানের।
ভারত-পাকিস্তান মহারণ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে রিজার্ভ ডে রাখা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেন। তবে বৃষ্টি বিঘ্নিত এই দ্বৈরথে ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারল না পাকিস্তান। ব্যাটে-বলের লড়াইয়ে ভারতের রান পাহাড়ে আটকে পরাজয় বরণ করল বাবর আজমের দল।
বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরিতে ভর করে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে পাকিস্তানকে ৩৫৭ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় ভারত। রোববার পাকিস্তানি বোলারদের দাপট দেখা গেলেও আজ ছিল তার ঠিক উল্টো চিত্র। গতকাল ভারত দুই উইকেট হারানোর পর আজ কোনো উইকেটের দেখাই পাননি পাকিস্তানের বোলাররা। অবশ্য দ্বিতীয় দিন মাঠে নামার আগেই বোলিংয়ে শক্তি কমে যাওয়ার খবর আসে পাকিস্তানের কাছে। সাইড স্ট্রেইনের চোটে দ্বিতীয় দিনে আর বোলিং করতে পারেননি হারিস রউফ।
ভারতের দেয়া ৩৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম উল হক ধীরগতিতে রান তুলতে থাকেন। ভারতীয় পেসাররা সুইং ও বাউন্সার পাওয়ায় দুজনের কেউই সুবিধা করতে পারছিলেন না। যা দেখা গেছে পুরো ইনিংসজুড়ে।
নতুন বলে দুর্দান্ত সুইংয়ে পাকিস্তানি টপ অর্ডার ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। মোহাম্মদ সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়ারাও ভুগিয়েছেন পাকিস্তানিদের। পেসারদের দুর্দান্ত শুরুর পর কুলদ্বীপ যাদব মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন পাকিস্তানি ব্যাটিং লাইনআপের। একই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন কুলদ্বীপ। ইনজুরির কারণে পাকিস্তানের হয়ে ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি দুই পেসার হারিস রউফ ও নাসিম শাহ। ৩২ ওভারে ১২৮ রান তুলে ৮ উইকেট হারায় পাকিস্তান। সেখানেই থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ফলে ২২৮ রানের বিশাল জয় পায় রোহিত শর্মার ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৩৫৬/২ (৫০ ওভার); কোহলি ১২২(৯৪), রাহুল ১১১ (১০৬); শাদাব খান ১/৭১, শাহীন আফ্রিদি ১/৭৯।
পাকিস্তান: ১২৮/১০ (৩২ ওভার); ফখর ২৭(৫০), আগা সালমান ২৩(৩২); কুলদিপ ৫/২৫, হার্দিক ১/১৭।
ফলাফল: ভারত ২২৮ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: বিরাট কোহলি
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম