মানস সরোবর পর্যন্ত তীর্থযাত্রা সফল করতে ভারতের নতুন সড়ক নির্মাণ নিয়ে ক্ষুব্ধ নেপাল। ওই সড়ক দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত বলে আগেই অভিযোগ তুলেছে কাঠমান্ডু। এবার পরিস্থিতি আরও জটিল করে ভারত-নেপাল সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার কথা জানালেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গিয়াওয়ালি।
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে এককভাবে ভারত কোনও পদক্ষেপ নেবে না বলেই আমরা আশা করছি। এছাড়াও, অতীতে আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী সীমান্ত মেনে চলবে নয়াদিল্লি বলে আমরা মনে করছি। তবে সীমান্তে আমাদের বর্ডার পোস্ট ভারতীয় সেনাবাহিনীর তুলনায় অনেক কম। সীমান্তে আমাদের মাত্র ১২০টি চৌকি রয়েছে। তাই আমরা অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার কথা ভাবছি।
তিনি আর দাবি করেন, নেপালের জমিতে সড়ক তৈরি করে ভারত দু’দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘন করছে। ১৮১৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও নেপালের তৎকালীন রাজার মধ্যে স্বাক্ষরিত সুগাউলি চুক্তিতে সাফ বলা হয়েছে, মহাকালি নদীর পূর্বের অংশ নেপালের। ১৯৮৮ সালের বৈঠকেও ভারত স্থায়ী সীমান্ত মেনে চলতে রাজি হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আগে মানস সরোবর যাত্রা সম্পূর্ণ করতে তীর্থযাত্রীদের তিন সপ্তাহ লাগত। কিন্তু নবনির্মিত ৮০ কিলোমিটার রাস্তাটির মাধ্যমে তা শেষ হবে মাত্র এক সপ্তাহেই। গত শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সে ধারচুলা থেকে চিন সীমান্তে লিপুলেখ পর্যন্ত রাস্তাটি উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তবে এই অঞ্চলকে তাদের বলে দাবি করেছে নেপাল।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলায় সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া সড়ক পুরোপুরি ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যেই পড়ে।
৩৭০ ধারা রদ এবং জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার পর ভারত তাদের নতুন রাজনৈতিক ম্যাপ প্রকাশ করে। নতুন ম্যাপে কালাপানিকে ভারতীয় অঞ্চল হিসেবে দেখানো হয়েছে। এরপর থেকেই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সীমান্ত-বিবাদ তৈরি হয়। এ নিয়ে কড়া আপত্তি জানায় কাঠমান্ডু। নেপালে বিক্ষোভও হয় এ নিয়ে। যদিও ভারত বলে আসছে, ম্যাপে সবকিছু আগের মতোই দেখানো হয়েছে।